• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সেন্সর বোর্ডে থাকছেন না আশফাক নিপুণ 


বিনোদন প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
সেন্সর বোর্ডে থাকছেন না আশফাক নিপুণ 

ঢাকা : অনেক আগে থেকেই সেন্সর প্রথার বিরুদ্ধে ছিলেন নির্মাতা আশফাক নিপুণ। সেন্সর বোর্ড তুলে দিয়ে সেন্সর সার্টিফিকেশনের কথা বলে আসছিলেন। দেশের পট পরিবর্তনের পর নতুন করে আলোচনায় আসে এই ইস্যু, সংস্কার চেয়ে প্রতিবাদও জানান তিনি।

এরমধ্যেই গতকাল তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৫ সদস্যের কমিটির মাধ্যমে সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠিত হয়। যেখানে নতুন সদস্যদের মধ্যে কয়েকজনের নাম এলেও প্রশ্ন উঠে আশফাক নিপুণ, খিজির হায়াত খান ও কাজী নওশাবা আহমদেকে ঘিরে! সেন্সর বোর্ড ছাড়াও নিপুণ ও নওশাবার নাম আসে শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ডেও।

সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা করা বেশিরভাগের প্রশ্ন, দেশে যোগ্য লোকের এতোই সংকট যে, নিপুণ-নওশাবাকে একই দিনে প্রকাশিত একাধিক কমিটিতে রাখতে বাধ্য হলো সরকার! নাকি সরকারের ভেতর দু’জন বেশ প্রভাব বিস্তার করছেন! পতিত সরকারের ফেরদৌস-রিয়াজ, তারিন-সুইটিদের নজির টেনে প্রশ্ন উঠেছে এমনটাও।

তবে প্রজ্ঞাপন জারির কয়েক ঘণ্টা পর যখন সোশ্যাল মিডিয়া সমালোচনায় মুখর ঠিক তখনই আশফাক নিপুণ জানিয়ে দিলেন, তিনি থাকছেন না সেন্সর বোর্ডে।

ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা বলেন, ‘সেন্সরবোর্ড আগামী কয়েক মাসের ভেতর সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে রূপান্তরিত হবে বলে আমাকে জানিয়েছেন তথ্য মন্ত্রণালয়। আমি আজীবন চলচ্চিত্রে বা শিল্পে সেন্সরবোর্ড প্রথার বিরুদ্ধে। আমি খুবই সম্মানিত বোধ করেছি মন্ত্রণালয় আমাকে বোর্ডের সদস্য হওয়ার যোগ্য মনে করেছিলেন। কিন্তু একটা মিস-কমিউনিকেশন হয়ে গেছে। আমি এই বোর্ডের অফিশিয়াল সদস্যপদ গ্রহণ করিনি। বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দিয়েছি। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে এই ব্যাপারে আমার কথা হয়ে গেছে।’

সেইসঙ্গে তিনি এও জানান, সেন্সর বোর্ড বাতিলের পক্ষে তার অবস্থান সর্বদা চলমান থাকবে।

এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আশফাক নিপুণ বলেন, ‘আমার নাম যে তালিকায় ঢুকাবে, সেটাই জানতাম না। প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর সেটা জানতে পারলাম। এরপর আমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার অবস্থান ক্লিয়ার করেছি এবং এটা মূলত মিস কমিউনিকেশন-এর কারণে হয়েছে। কারণ, এই তালিকায় আমার নাম থাকার কথাই না। আমি সায় দিইনি। কারণ, আমি নিজেই তো এই সেন্সর প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি লম্বা সময় ধরে। সেজন্যই প্রজ্ঞাপন জারির পর আমি বিষয়টি বুঝতে খানিকটা সময় নিয়েছি এবং বিনয়ের সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এই সম্মানটুকু আমি গ্রহণ করতে অপারগ। সুতরাং সেন্সর বোর্ডে আমি নেই।’

সেন্সর বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ড. জাকির হোসেন রাজু, নির্মাতা খিজির হায়াত খান, নির্মাতা তাসমিয়া আফরিন মৌ, বিশিষ্ট লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক রফিকুল আনোয়ার রাসেল। 

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!