ঢাকা: দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেন। আগের চেয়ে এখন অনেকটাই কাজ কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে পর্দায় আগের মতো সরব না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় এই অভিনেত্রী। ব্যক্তিজীবনে নানা চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে এই তারকাকে। সবকিছু মিলিয়েই কিছুটা কঠিন সময় পার করতে হয়েছে ফারিয়াকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়তই নানান ইস্যুতে পোস্ট করতে দেখা যায় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াকে। কখনও নিজের ছবি-ভিডিও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন, কখনও নিজের মতামত প্রকাশ করেন, কখনও বা ক্ষোভ ঝাড়েন এই অভিনেত্রী। এবার ফেসবুকে নেটিজেনদের ওপরে ক্ষোভ ঝাড়লেন তিনি।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ক্ষোভ ঝেড়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন ফারিয়া।
‘ভাই আপনারা কারা গিয়ে মানুষের পোস্টে এমন কমেন্ট দেন, মানুষ মনে করে আমি ফেক একাউন্ট বানায় কমেন্ট দিছি, আবার এইসবের স্ক্রিনশট আমার কাছে আসে। এত সময় কোথেকে পান? কেন এমন করেন? কি আনন্দ পান? নাকি কেউ নিজেরাই লিখে প্রিটেন্ড করে আমি তাদের নিয়ে চিন্তিত। যেইটাই হোক এইসব কইরেন না আল্লাহ্ ওয়াস্তে। কিছু মানুষের এইটুকু সেন্সের অভাব আছে, যেই জিনিস আমি নিজ থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছি, আমি আবার রাস্তায় গিয়ে দেখবো না আমার ছুড়ে ফেলা জিনিসকে কুড়িয়ে পেলো কিংবা কুড়িয়ে পেয়ে সে সেইটা মাথায় তুলে নাচে নাকি ডাস্টবিনে আবার ফেলে দিচ্ছে! জীবন, শুটিং, চাকরি, বাসা, ফ্যামিলি সব নিয়ে অনেক প্যারা আমার জীবনে, ফেলে দেওয়া জিনিসের পেছনে দেওয়ার মতো এত সময়, ইচ্ছা, আগ্রহ কিংবা সুযোগ কোনোটাই নাই! আল্লাহর কসম।
যাদের জীবনে কোনো এচিভমেন্ট নাই, নিজের যোগ্যতায় কিছু করে দেখানোর যোগ্যতা নাই, তাদের ‘মুই কি হনু রে’ বলে একটা বিষয় থাকে, মনে করে দুনিয়া তাদের কেন্দ্র করে ঘুরতেছে, দুনিয়া অনেক বড়। আমার দুনিয়া এখন আল্লাহর রহমতে অনেক বড়, অনেক বিস্তৃত! জীবনের কোনো একটা সময়ে আবেগের বসে করে ফেলা ভুল, কিছু সময়ের পর সেই ভুল শোধরাতে পেরে সেইটা নিয়ে আফসোস করার মতো বোকা আমি না। আমার একটা সময় পর্যন্ত কষ্ট ছিল, আমার মনে হইতো আমার সাথে অনেক ইনজাস্টিস হইছে। কিন্তু এখন আমি জানি সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়। আল্লাহ ভুল শোধরানোর সুযোগ সেইজন্যই দিয়েছে, যাতে মানুষ সামনে এগিয়ে গিয়ে আল্লাহর বাকি সব রহমতের দেখা পায়। আমি বিশ্বাস করি আমার সঙ্গে যারা ইনজাস্টিস করেছ, আল্লাহ তাদের প্রাপ্য তাদের দিয়ে না হয় তাদের আসে পাশের মানুষ, পরবর্তী প্রজন্ম তাদের দিয়ে হলেও বিচার করবে।
আমি এইসব ফালতু জিনিস নিয়ে লেখার বয়স পার করে ফেলসি, তাও এক গাদা স্ক্রিনশট পেয়ে লিখলাম। আমি জীবনে অনেকদুর আগায় আসছি। সামনে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়ার জন্য অনেক বড় সুসংবাদও আছে (ক্যারিয়ার/লেখাপড়া বিষয়ক) আমি আর জীবনের কোন পর্যায় করে ফেলা ভুল নিয়ে কিছু লিখতে চাই না, সামনে লেখার অনেক বড় বড় টপিক আছে, অনেক বড় পরিসরে লেখা/কথা বলার সুযোগ আসছে, সেগুলো নিয়েই ভাবতে চাই।’
ইউআর/আইএ