• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১

গোপন ভিডিও ধারণ: বিচার চাইলেন অভিনেত্রী


বিনোদন ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ০২:২৩ পিএম
গোপন ভিডিও ধারণ: বিচার চাইলেন অভিনেত্রী

ঢাকা: বর্তমান সময়ের ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক অপ্রীতিকর ঘটনার মুখে পড়েছেন। তার অনুমতি না নিয়েই এক সাংবাদিকের গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যে ভিডিওটি অভিনেত্রীকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করে তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

শুরুতেই দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের নাম উল্লেখ করে সাদিয়া আয়মান লেখেন, আমাদের প্রত্যেক শিল্পীর জন্য এই সংবাদপত্রটি বিশ্বাসের জায়গা, ভরসার জায়গা। প্রতিষ্ঠানটির ভবনে আমরা সকলেই সেফ ফিল করি। সেখানেই একটি ইন্টারভিউতে গিয়ে আজ আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল ও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি।

অভিনেত্রী লেখেন, ওই সংবাদপত্রের একজন কর্মী আমার ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করেছে। যখন আমি মাইক্রোফোন ঠিক করছিলাম। ইন্টারভিউতে রেকর্ড করা প্রফেশনাল ভিডিওর বাইরে একজন শিল্পীর অনুমতি ছাড়া গোপন ভিডিও ‘স্বজ্ঞানে’ এডিট করে তার নিজস্ব ফেসবুক পেজে আপলোড করেছে। একদিন পরে ভিডিওটি তার নজরে এসেছে উল্লেখ করে সাদিয়া বলেন, আমি ভিডিওটি একদিন পরে দেখতে পাই। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করি, কেন আমার অনুমতি ছাড়া এরকম ভিডিও করা হলো, আর সেটা প্রকাশ করল? জবাবে সে নানা অজুহাত দেখায়। এরপর আমি যখন বলি, অফিসিয়ালি পদক্ষেপ নেব তখন সে ভিডিওটি ডিলিট করে দেয়। 

ভিডিওটি ডিলিট করার পরেও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ততক্ষণে ভিডিওটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। নানা বাজে ক্যাপশনে বিভিন্ন পেজ থেকে এডিট করে ভিডিওটি পাবলিশ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিজের যে ক্ষতি হয়েছে তার দায়ভার কে নেবে— প্রশ্ন রেখে সাদিয়া বলেন, কাজ করার সময় গোপনে ধারণ করা ভিডিও আপলোড করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে যে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে, যে ক্ষতি হয়েছে, আমার যে মানহানি হয়েছে এই দ্বায়ভার কে নেবে? 

সবশেষ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এই অভিনেত্রী লেখেন, সকল সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করবো, অন্যায়ের প্রতিবাদে আপনারাও সোচ্চার হবেন। আপনারাই তো একজন শিল্পীর সন্মান ও তার কাজকে প্রমোট করেন। অনুরোধ, এ বিষয়ে আমাকে কারো ফোন করার প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত এটাই আমার অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট। পরবর্তীতে কোন আপডেট জানানোর প্রয়োজন হলে আমার পেজেই জানাবো। আমি শিল্পী, আমার শিল্পকর্ম নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চাই। ধন্যবাদ, আমার সব দর্শককে যারা অন্যায়ের প্রতিবাদে সবসময় পাশে থেকেছেন।

এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই আরও একটি স্ট্যাটাসে সাদিয়া আয়মান নিশ্চিত করেন, সেই সাংবাদিককে প্রতিষ্ঠানের সব ধরণের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

ইউআর

Wordbridge School
Link copied!