ঢাকা: অন্য বলিউড অভিনেত্রীদের থেকে একেবারে আলাদা শ্রদ্ধা কপূর। খুব বেশি ছবিতে দেখা যায় না তাঁকে, তবু তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়। সমাজমাধ্যমে শ্রদ্ধার অনুসরণকারীর সংখ্যা অন্য বলি তারকাদের থেকে বেশ খানিকটা বেশি। গত মাসে মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘স্ত্রী ২’। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি পেরিয়ে গিয়েছেন এক মাইল ফলক।
শক্তি কাপূরের কন্যা শ্রদ্ধাকে বলিউড তারকা বলে মনেই হয় না। সেটাই তাঁর বিশেষত্ব। একেবারে সাধারণ, পাশের বাড়ির মেয়ের মতো ভাব ভঙ্গি। সেই কারণেই তাঁকে পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু হঠাৎই তাঁর বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করেছে অভিযোগ। সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন অভিনেত্রী।অনেকেই বলছেন শ্রদ্ধার এই জনপ্রিয়তা আসলে তাঁর ভণিতার ফসল। ‘ভাল মেয়ে’-র মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকেন একজন ‘দুর্বল অভিনেত্রী’। নেটাগরিকরাই বলছেন, তাঁর অভিনয় দক্ষতা এমন কিছু ভাল নয়। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তা যেন খান-দের থেকেও বেশি। কী করে হতে পারে এমন!
এমন মতের পিছনেও রয়েছে সফল ছবি স্ত্রী ২। এই ছবিতে শ্রদ্ধার চরিত্রের প্রায় কিছুই করার ছিল না বলে নেটাগরিকদের দাবি। অথচ, সেই ছবির সমস্ত সুফল পাচ্ছেন তিনিই। এর আগে গত বছর রণবীর কপূরের সঙ্গে শ্রদ্ধা অভিনয় করেছিলেন তু ঝুটি ম্যায় মক্কার ছবিতে। কিন্তু ছবিটি ভাল ফল করেনি বক্স অফিসে। প্রতি বছর ছবি করেন না শ্রদ্ধা। তবু তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে না। নেটাগরিকদের দাবি, এটা তাঁর গুণ নয় বরং জনসংযোগের ক্ষমতা।
সমাজমাধ্যম এক নেটাগরিক লিখেছেন, আমার তো শ্রদ্ধাকে খুবই আড়ষ্ট মনে হয়। ‘পাশের বাড়ির মেয়ে’-র সাজে লুকিয়ে থাকেন এক খারাপ অভিনেত্রী। আর এক নেটাগরিক এক ধাপ এগিয়ে লিখেছেন, খুব চেষ্টা করেন সাধারণ মেয়ে সেজে থাকার। তার পর নিজের জনসংযোগ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন আসলে তিনি খানেদের থেকেও জনপ্রিয়। আমার তো মনে হয় ওঁর সমস্ত ভক্তই আসলে ওঁর জনসংযোগ কর্মী। একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ভাষায় মন্তব্য করা হয়।
ইউআর