• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

সামান্থার সংসার ভাঙার পেছনে ছিল একজন মন্ত্রীর হাত


বিনোদন ডেস্ক অক্টোবর ৩, ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
সামান্থার সংসার ভাঙার পেছনে ছিল একজন মন্ত্রীর হাত

ঢাকা: দীর্ঘ আট বছর প্রেমের পর ২০১৭ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় দুই তারকা নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভু জুটি। তবে বিয়ের চার বছরের মাথায় আচমকাই ভেঙে যায় তাদের সংসার। ২০২১ সালেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই জুটি। তবে বিচ্ছেদের সঠিক কারন নিয়ে কেউই মুখ খোলেন নি। তাই তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে আছে বহু জল্পনা কল্পনা। 

সম্প্রতি তেলেঙ্গানার বন ও পরিবেশমন্ত্রী কোনডা সুরেখা দাবি করেছেন, এক সুগভীর রাজনৈতিক চক্রান্ত করে সামান্থা ও নাগার বিচ্ছেদ করানো হয়েছিল। মন্ত্রীর আরও দাবি, এই চক্রান্তের পেছনে হাত ছিল তৎকালীন মন্ত্রী‌ কেটি রামা রাও’র! এক রাজনৈতিক সভায় দেওয়া বক্তব্যেই এমনটা দাবি করেন কোনডা সুরেখা।

বনমন্ত্রী বলেন, ‘কেটি রামা রাওয়ের জন্যেই সামান্থার বিচ্ছেদ হয়েছে। উনি তৎকালীন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন অভিনেত্রীর ফোনে আড়ি পাতা তার কাজ ছিল। সেই আড়ি পেতে অভিনেত্রীদের হাঁড়ির খবর খুঁজে বের করতেন। এরপর সেই গোপন তথ্য পাওয়ার পর অভিনেত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করতেন! অভিনেত্রীদের মাদকের নেশা ধরাতে একপ্রকার বাধ্য করতেন। যে কারণে সংসার জীবনে বিচ্ছেদের পথে হাঁটা ছাড়া তাদের আর কোনও গতি থাকত না! এ কথা সবাই জানেন। সামান্থা জানে, নাগা চৈতন্য জানে, তাদের বাড়ির লোক জানে।’

তেলেঙ্গানার বনমন্ত্রীর মুখে এ কথা শুনে ঝড় উঠেছে নেটপাড়ায়। নেটিজেনদের তীব্র নিন্দার সম্মুখীন হতে হচ্ছেন কোনডা সুরেখাকে। তেলেঙ্গানার বনমন্ত্রীকে নিন্দা জানিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন খোদ সামান্থা নিজেও।

সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন সামান্থা। পরিস্কার ভাষায় জানিয়েছেন, তার ব্যক্তিগত জীবনকে যেন রাজনীতির আখড়ায় না টানা হয়। অভিনেত্রীর কথায়, আমার বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা অত্যন্ত ব্যক্তিগত। এই বিষয়টি সম্পর্কে কোনওরকম মন্তব্য করা থেকে দয়া করে দূরে থাকুন। ব্যক্তিগত বিষয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলি না মানে এই নয়, সেই বিষয়ে যা তা যে কেউ বলতে পারবেন। পরিস্কার করে জানিয়ে দিতে চাই, এই বিচ্ছেদ ছিল দুটি মানুষের যৌথ ভাবনার‌‌ ফসল। এর সঙ্গে কোনো রকম রাজনীতি জড়িয়ে নেই।

এরপর মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সামান্থা বলেন, ‘আর কোনডা সুরেখা একটা কথা বলি, আপনি নিশ্চয়ই অবগত একজন রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আপনার কোন বিষয়ে বক্তব্য অথবা মন্তব্য সমাজে কতটা ছাপ ফেলতে পারে। আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, অন্যদের ব্যক্তিগত বিষয় ও জীবনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। অন্যদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে একটু দায়িত্বশীল হন।’

ইউআর

Wordbridge School
Link copied!