ঢাকা: ধর্ম যার যার, উৎসব সবার…, একথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন নুসরত জাহান। তাই তো ছোট থেকেই দুর্গোৎসব উদযাপনে মেতে ওঠেন তিনি। এবারও তার অন্যথা হবে না। নুসরাতের সোশাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই দেখা যাবে প্রতিবারের মতো এবারেও শারদোৎসবের আমেজে মেতে উঠেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “শহর কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেলেও প্রতিবারের মতোই নিয়মমাফিক মা আসছেন। তিনি যেন সকলের জীবনে শান্তি পৌঁছে দেন।”
তিনি বলেন প্রত্যেক বছর অষ্টমীর দুপুরে আমি ভোগ খেতে খুব ভালবাসি। একশো বার হয়তো তার জন্য আমাকে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে! কিন্তু তার পরেও অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দিই, আগামী দিনেও অঞ্জলি দেব। কারণ, বিশ্বাস কোনও ধর্মের উপর নির্ভর করে না। কোনও ভাষার উপরেও নির্ভর করে না। বিশ্বাস মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্রোলিংকে আমি পাত্তা দিই না। কারণ প্রত্যেকের তার নিজের মতো জীবন যাপনের স্বাধীনতা রয়েছে। কেউ অন্যের জীবনযাপনের শর্ত নির্ধারণ করে দিতে পারে না। আমি সমাজমাধ্যমে দেখেছি, মহিলাদের একটু বেশিই ট্রোল করা হয়। চারটে লাইন লিখে পালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে চিনিও না, জানিও না। তাই পাত্তাও দিই না।
সিঁদুর পরা নিয়ে কিংবা হিন্দুঘরে বিয়ে করা নিয়েও কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি অভিনেত্রীকে। ইসলাম ধর্মাবলম্বী হওয়ায় ভোগ খাওয়া কিংবা অঞ্জলি দেওয়া নিয়েও কটু কথা শুনতে হয়েছে নুসরতকে। তবে দমে যাননি। তাই তো এবারেও প্রতিবারের মতো অষ্টমীতে অঞ্জলি দেবেন এবং পাতপেড়ে ভোগ খাবেন তিনি। আর এই পুজোর সময়ে ফুট স্টলেও ঢুঁ মারেন নুসরত। মা হিসেবে এখন তাঁর দায়িত্বও অনেক। ছেলে ঈশানকে ঠাকুর দেখানোর প্ল্যান কষে ফেলেছেন ইতিমধ্যে।
পুজোর এই চারটে দিন কলকাতা ছাড়া অন্যত্র যাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না নুসরাত জাহান। অভিনেত্রী বলছেন, “শৈশবে দিনভর ভাইবোনদের নিয়ে প্যান্ডেল হপিং করতাম। সেগুলো মিস করি। তবে আমি ঠাকুর দেখতে ভালোবাসি। এখন অবশ্য অতিথি হিসেবে কলকাতার অনেক পুজো আগেভাগেই দেখা হয়ে যায়। তবে যশকে বলেছি একদিন আমাকে নিয়ে আলাদা করে বেরতে। আর বাচ্চাদের সঙ্গেও একটা দিন কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এইসময়ে বাইরের অনেক বন্ধুবান্ধবও কলকাতায় আসে। তাঁদের সঙ্গেও খাওয়া-দাওয়া আড্ডার প্ল্যান রয়েছে।”
ইউআর