• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

কারা ওকে আমার বাসায় পাঠিয়েছে খুঁজে বের করতে হবে: পরীমণি


বিনোদন প্রতিবেদক এপ্রিল ৪, ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
কারা ওকে আমার বাসায় পাঠিয়েছে খুঁজে বের করতে হবে: পরীমণি

ঢাকা : পরীমণির এক বছরের মেয়ে সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার ঢাকার ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। গত বৃহস্পতিবার জিডি করেছেন পিংকি আক্তার।

ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসার এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ওই গৃহকর্মী থানায় একটি জিডি করেছে। আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি। 

ভোলার ইলিশা ঘাটে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ভোলার ইলিশা ঘাটে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরীমণি বলেন, মেয়েটা চাকরির জন্য এসেছিল। খুব কান্নাকাটি করল। বলল, বের করে দিয়েন না, যেকোনো কাজ করে দেব, আমার কেউ নেই, বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে আছি। অন্তত একটা মাস থাকি। আমার দয়া হলো। কিন্তু সে ছিল প্রতিবন্ধী। কাজ করার সক্ষমতা ওর ছিল না। তবু আমি তাকে বললাম, কাজ করতে হবে না, আমার বাচ্চাদের সঙ্গে খেলবে।

পরীমণি জানান, একটি এজেন্সি মারফত মেয়েটিকে পেয়েছেন তিনি। ওই এজেন্সির অনুরোধে তাকে বাড়িতে ঢুকতে দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পরই তার ওপর সন্দেহ তৈরি হয় অভিনেত্রীর। কারণ মেয়েটি বেশিরভাগ সময় ফোনে ব্যস্ত থাকে। কোথায় যেন ছবি ও ভিডিও পাঠায়।  

এই নায়িকা বলেন, ওর কর্মকাণ্ডে আমার সন্দেহ হলো। দুইদিন পর পর এ সমস্যা, সে সমস্যা, শুধু টাকা চায়। ভেবেছিলাম, এসেছে যখন, একমাস থাকুক। পরে যার মাধ্যমে এসেছে, তাদের জানালাম। ওকে যখনই বিদায় হতে বললাম, কান্নাকাটি শুরু করল। পরে ১ মাসের বেতন ২০ হাজার টাকা, ঈদের বোনাস, সালামি, নতুন কাপড় দিয়ে বিদায় হতে বললাম। আমার বাচ্চাদের সঙ্গে যা করল... ভারি কিছু তুলতে পারে না, আমার ছেলেকে কোলে নিতে পারে না। এক মাসও হয়নি, ব্ল্যাকমেইল শুরু করেছে। 

পরীমণি আরও বলেন, আমার সংসার চলে গৃহকর্মীদের ওপরে। তাদের সঙ্গেই আমার সবকিছু। আমি তাদের ‘আপনি’, ‘আন্টি’ ছাড়া কথা বলি না। এত বছর ঢাকা শহরে থাকি, আমার গৃহকর্মী, গাড়িচালক কাউকে বদলাতে হয়নি। কারও পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। চার-পাঁচ দিনের জন্য একজন এসে অভিযোগ করা তো সন্দেহজনক। সে অসহায়ত্ব দেখালো বটে, কিন্তু সে খুব স্মার্ট। নিশ্চয়ই ওর পেছনে কেউ আছে। কারা ওকে আমার বাসায় পাঠিয়েছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমার বাসার লোকেদের সঙ্গে সে গল্প করেছে, ওর বন্ধু নাকি নাহিদ ইসলামের বন্ধু! কার কার সঙ্গে ফোনে কথা বলতো, কাকে কাকে ছবি পাঠাতো এসব তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে যাবে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!