ঢাকা : হঠাৎ করেই তীব্র শীতের অনুভূতি রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে। গত কয়েক বছরে দেশে এমন শীত অনুভূত হয়নি। কয়েক দিনে সারা দেশের শীতের তীব্রতা আবহাওয়া কর্মকর্তাদেরও চিন্তায় ফেলেছে।
তাপমাত্রা মাপার থার্মোমিটারে দেখানো তাপমাত্রার সঙ্গে অনুভূত তাপমাত্রার বড় পার্থক্য পেয়েছেন তারা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গেলে শীত বেশি অনুভূত হয়ে থাকে। এ ছাড়া তীব্র শীতের চার কারণ চিহ্নিত করেছেন তারা।
একটি অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় সকাল ৯টায়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিকেল ৩টায়। এই দুই তাপমাত্রার ব্যবধান যত কম হবে শীতের অনুভূতি তত বেশি হবে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই তাপমাত্রার ব্যবধান অনেকটাই কমে এসেছে। কুয়াশার উপস্থিতির কারণে সূর্যের তাপ আসতে পারে না। আবার ভূপৃষ্ঠের তাপও ঊর্ধ্বমুখী চলে যেতে না পারায় দিনের তাপমাত্রাও কমে আসে। কুয়াশার মধ্যে হিউমিডিটি অনেক বেশি থাকে, পানির কণা বেশি থাকায় সুপ্ত তাপ বেশি থাকে। ফলে কুয়াশা থাকলে শীতের অনুভূতিও বেশি থাকে।
ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হওয়ার আরেকটি কারণ, বাতাসের দিক ও গতি। বর্তমানে পশ্চিম দিক থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে বাতাস প্রবেশ করছে। হিমালয় হয়ে বাতাস আসায় তা অনেক ঠাণ্ডা হয়। এতে দেশজুড়ে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে শীতের আধিক্য বেশি।
এ ছাড়া এখন সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে হেলে গেছে। দেশের যত উত্তরে যাওয়া যায়, সূর্যের দূরত্ব ততই বাড়ে। এসব অঞ্চলে সূর্যের আলো কম পৌঁছায়। এ কারণে দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চলে বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হয়।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া বাকি পাঁচ বিভাগেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এ মাসের জন্য এই আবহাওয়া স্বাভাবিক। তবে শৈত্যপ্রবাহ আরো চার দিনের মতো থাকার সম্ভাবনা আছে। বিগত বছরগুলোতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের স্থায়িত্ব ছিল দুই থেকে তিন দিন। এ বছর তা প্রায় আট দিন স্থায়ী হতে চলেছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :