• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়

কীভাবে হল এই নামকরণ?


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ১৫, ২০২৩, ১১:২৫ এএম
কীভাবে হল এই নামকরণ?

ঢাকা : ভারত-পাকিস্তান উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে আরব সাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) অনুসারে আজ বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে গুজরাটের কুচ, সৌরাষ্ট্র এবং পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি।

কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ের এমন নাম কেন আর কিভাবেই বা হল এই নামকরণ?

সাধারণত ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম দিয়ে থাকে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও )। বিপর্যয় -নামটি বাংলাদেশের দেওয়া। নামটির অর্থ বিপদ বা দুর্যোগ।

ডব্লিওএমও এর তথ্যসূত্র অনুযায়ী একসঙ্গে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন এলাকায়। তাই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়ার সময় বিভ্রান্তি এড়াতে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে প্রতিটির আলাদা আলাদা নাম দেওয়া হয়। তাহলে নির্দিষ্টি এলাকায় বার্তা পৌঁছতে, সমুদ্রের নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকা জাহাজে সহজেই বার্তা পাঠানো যায়।

আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকার অনুমোদন দেয় ডব্লিউএমওর আঞ্চলিক কমিটির একটি প্যানেল, যার নাম ‘এসকাপ প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস’। প্যানেলের সদস্য দেশগুলো হচ্ছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বা ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম ঠিক করার জন্য ২০০০ সালে ওমানের মাস্কটে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থার অধিবেশনে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ-সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখনই সবকটি দেশ মিলে একটি তালিকা দিয়েছিল। সেখান থেকেই পাওয়া যায় ঝড়ের নাম। আয়লা, আমপান, বুলবুল, হুদহুদ, ফণী, অশনি, সিত্রাং, মোকা---এই সবকটি নামই এমন ভাবে এসেছে। কোন বছরে কত নম্বর ঘূর্ণিঝড়ের কী নাম হবে তা ইতিমধ্যেই তৈরি।

নামকরণের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হয় ডব্লিউএমওর প্যানেলকে। যেমন রাজনীতি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতি বা লিঙ্গ নিরপেক্ষ হতে হবে নামগুলোকে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!