ঢাকা: তীব্র দাবদাহে ঘরে-বাইরে কোথাও এক মুহূর্ত স্বস্তি মিলছে না মানুষের। প্রচণ্ড রোদের কারণে তাপ উঠছে মাটি থেকেও। পিচ ঢালা সড়কগুলো যেন ঝলন্ত কয়লা।
চলতি মৌসুমে সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে ৪২ দশমিক ৬ এবং রাজধানী ঢাকায় সোমবার রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
এমন পরিস্থিতিতে কখন যে বৃষ্টি হবে-এমন প্রত্যাশা এখন সবার মাঝে। তবে মানুষের এই প্রত্যাশার মাঝে বৃষ্টি নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর।
তিনি বলেন, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গরম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই-এপ্রিল মাস সাধারণত কালবৈশাখী ঝড়ের সময় কিন্তু এবছর বর্জঝড়ের পরিমাণ খুব কম হয়েছে। এ কারণেই গরম তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে।
মে মাসের শুরুতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ এলাকায় এপ্রিল মাস জুড়েই বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রামসহ দেশের পূর্বাঞ্চলে মে মাসের শুরুতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে যা আস্তে আস্তে সারাদেশে বিস্তৃত হবে। বিক্ষিপ্তভাবে নয়, সারাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি না হলে গরম কমার সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অফিস সূত্র বলছে, যশোর ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে বুধবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এসএইচ/আইএ