• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘মুরাদ অসংখ্য মেয়েকে ধর্ষণ করেছে’


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৭, ২০২১, ০৪:৩১ পিএম
‘মুরাদ অসংখ্য মেয়েকে ধর্ষণ করেছে’

ছবি : মুরাদ হাসান এবং তসলিমা নাসরিন

ঢাকা : বেশ কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনায়-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ডা. মুরাদ হাসান। বিশেষ করে রাষ্ট্রধর্ম, রাজনীতি, খালেদা জিয়ার নাতনি ও সবশেষ চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে ভেতর-বাইরে আলোচনা-সমালোচনায় ছিলেন। 

মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে যায় মুরাদ-মাহির আপত্তিকর ফোনালাপটি। এসবের জেরে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।

ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে তসলিমা নাসরিন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়ে ডা. মুরাদের সমালোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মন্ত্রী মুরাদ হাসান খুব ব্রুটালি মাহিকে ধর্ষণ করতে চেয়েছে। আমরা যারা তার সেই ফোনালাপ শুনেছি, তারা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারি যে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে লোকটি অসংখ্য মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘তার চালচলন, আচার-ব্যবহার সব বলে দেয় যে, সে ধরাকে সরা জ্ঞান করে। কে তাকে এত বর্বর হওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে? এ-ও অনুমান করতে পারি, কে। লোকটি মাতাল হয়ে মানুষকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয়। নেত্রীর আশকারা তাকে কোথায় উঠিয়েছে! উঠিয়েছে নাকি নামিয়েছে? আমি তো বলব, মানুষ হিসেবে তাকে অনেক নিচে নামিয়েছে।’

এদিকে মুরাদ হাসানকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আগামী কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। সংশ্লিষ্টদের মতে, দল থেকে বহিষ্কার হলে তাকে সংসদ সদস্যপদও হারাতে হতে পারে।

মুরাদ হাসান পেশায় চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য।

ডা. মো. মুরাদ হাসান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও তিনি একই আসনে থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫ মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯ মে তার দফতর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়। 

সোনালীনিউজ/এসএস

Wordbridge School
Link copied!