• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
খসড়া জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি

ইসি আইন নিয়ে সন্দেহের দোলা


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ১৯, ২০২২, ১১:০৩ এএম
ইসি আইন নিয়ে সন্দেহের দোলা

ফাইল ছবি

ঢাকা : নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নতুন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থানে পরিবর্তন ঘটলেও রাজনৈতিক মহলে সন্দেহ কাটছে না। স্বস্তিদায়ক কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও। ফলে ইসি গঠনে কয়েক যুগের রাজনৈতিক বিরোধ মেটার কোনো পথ তৈরির আভাসও মিলছে না।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অনেক দিন থেকেই বলে আসছিলেন, সময় খুব কম। তাই আগের দু'বারের ধারাবাহিকতায় এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আইন বা অধ্যাদেশ কোনো কিছুই হবে না। কিন্তু এখন তিনি বলছেন, নতুন আইন পাস হওয়ার পরই ইসি গঠিত হবে।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর আগেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন ইসির নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সংসদের অধিবেশনও চলমান। যদিও করোনার কারণে সপ্তাহে দুই থেকে চার দিনের বেশি অধিবেশন চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

গত সোমবার এ-সংক্রান্ত খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পায়। দীর্ঘ ৫০ বছর পরে হলেও সংবিধানের নির্দেশনা মেনে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তুলেছেন, কয়েক মাস ধরে আইনমন্ত্রী বলেছেন- এত কম সময়ে নতুন আইন সম্ভব নয়। এখন আবার তাড়াহুড়ো করে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। আইনের খসড়ায় সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবে যাদের নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তাতে সরকারের ইচ্ছার বাইরে কিছু ঘটবে বলে আশা করা যায় না।

নতুন আইন প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব না এলেও নাগরিক সমাজ ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একাধিকবার আইনের খসড়া তৈরি করে সরকারের সংশ্নিষ্ট মহলে পৌঁছানো হয়। তবে কখনোই তা আমলে নেওয়া হয়নি।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে আইনের খসড়া অনুমোদনকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে অভিহিত করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে নাগরিক সমাজসহ অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে খসড়া চূড়ান্ত করে আইন প্রণয়ন করতে হবে। আইনটির খসড়া অবিলম্বে সবার জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানান তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংশ্নিষ্ট অংশীজন ও নাগরিক সমাজের মতামত ও যাচাই-বাছাই ছাড়া আইনটি পাস করলে এর গ্রহণযোগ্যতা যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, তেমনি কার্যকারিতা নিয়েও নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে না।

এদিকে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং উইংয়ের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হলেও এই আইনের খসড়ার বিষয়ে তারা পুরোপুরি অন্ধকারে। এমনকি খসড়া আইনটির অনুলিপিও সংশ্নিষ্টদের হাতে নেই। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠকের পরে যে ব্রিফিং করেছেন তার বাইরে খসড়া আইনে কী রয়েছে, তা নিয়েও সংশ্নিষ্টরা রয়েছেন অনেকটাই অন্ধকারে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, খসড়াটি ভেটিংয়ের জন্য এখন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এটি সংসদে উত্থাপনের পরে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। সেখান থেকে সুপারিশ আকারে সংসদের বৈঠকে উঠবে।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, 'ইসি নিয়োগে সরকারের হাতে যে বল্কগ্দাহীন ক্ষমতা ছিল, তা আইনের মাধ্যমে আসছে। এটাই বড় কথা। খসড়া আইনটি মন্ত্রিসভায় পাঠানোর আগে সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনকে দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে সবাই মতামত দিতে পারত; কিন্তু সেটা করা হয়নি। মন্ত্রিসভায় পাস হওয়ার পর কার্যাদেশে পরিবর্তন আনা খুব কঠিন হয়ে যায়।'

তিনি মনে করেন, এটা নিয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের মতামত নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আইনের খসড়া না দেখে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসি গঠনের আগের দু'বারের মতো এবারও সার্চ কমিটিতেই সীমাবদ্ধ থাকার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তবে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু হওয়ার পর থেকেই নতুন আইন প্রণয়নের বিষয়ে ঘরে-বাইরে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছিল। সরকারের 'সহযোগী বা মিত্র' হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলীয় জোটের অনেক শরিকই আইন প্রণয়নের পক্ষে নিজেদের মত তুলে ধরেছে রাষ্ট্রপতির কাছে। পাশাপাশি ঢাকায় নিযুক্ত বন্ধুরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের পক্ষ থেকেও ইসি গঠনে নতুন আইনের বিষয়ে আগ্রহের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার তার অবস্থান অনেকটাই পরিবর্তন করেছে।

তবে বিশ্নেষকরা বলছেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত খসড়া আইনে পদাধিকারবলে যাদের সার্চ কমিটিতে রাখা হচ্ছে, তাদের সরকারের পছন্দের বাইরে পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো কারণ নেই। সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি বলেছে, নতুন আইনের উদ্যোগে 'যেই লাউ সেই কদু'।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য এবং বিএনপির সংরক্ষিত আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের যে সমস্যা, তা ইসির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। আইনে যত ক্ষমতাই দেওয়া হোক সরকার না চাইলে ইসির কিছুই করার সুযোগ নেই। নির্বাচনকালীন সরকার কে থাকবে- সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণ অতীতে দেখা গেছে, ড. শামসুল হুদা কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চাইলেও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাতে রাজি হয়নি। এটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে।

খসড়া আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, এই সংসদে বিরোধী সদস্যদের সংশোধনী বা প্রস্তাব গ্রহণের নজির খুব একটা নেই। তাই এই আইনের ব্যাপারে বিশেষ কিছু ঘটবে, এমনটি আশা করার সুযোগ কম।

মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া খসড়া আইনে বলা হয়েছে, 'অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।

সদস্য থাকবেন- প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দু'জন বিশিষ্ট নাগরিক। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।'

সিইসি ও ইসি নিয়োগের ক্ষেত্রে খসড়া আইনে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে- প্রথমত, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ পাবেন। তাদের বয়স কমপক্ষে ৫০ বছর হতে হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি বা বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

খসড়া আইনে অযোগ্যতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ??'আদালতের মাধ্যমে কেউ অপ্রকৃতিস্থ হিসেবে ঘোষিত হন, দেউলিয়া ঘোষণার পর দেউলিয়া অবস্থা থেকে মুক্ত না হলে, অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করেন বা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন, নৈতিক স্খলন এবং সে ক্ষেত্রে যদি ফৌজদারি অপরাধে কমপক্ষে দু'বছর কারাদহেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দি ত হলে, রাষ্ট্রীয় পদে থাকলে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার হতে পারবেন না।'

এ বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহ্‌দীন মালিক বলেন, সার্চ কমিটিতে পদাধিকার বলে রাখা ব্যক্তিরা সরকারের পছন্দে নিয়োগ পাওয়া। তাদের সার্চে সরকারের অপছন্দের কিছুই ঘটবে না। এই সার্চ কমিটি সার্চ করে কী পাবে, তা সহজেই অনুমেয়।

তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রধান অংশীজন হলো রাজনৈতিক দল। তাদের মতামত অত্যন্ত জরুরি। সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়ার পাশাপাশি জনসম্মুখে প্রকাশ না করলে আইনের পুরো উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হবে।

শামসুল হুদা কমিশনের প্রস্তাব : ২০১২ সালে তৎকালীন সিইসি ড. শামসুল হুদা কমিশনের পক্ষ থেকে আইনের একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সম্ভাব্যদের একটি প্যানেল তৈরি করবে সার্চ কমিটি। এ কমিটিতে আহ্বায়ক হবেন বিদায়ী সিইসি। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান সদস্য থাকবেন। ওই কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিটি পদের বিপরীতে তিনজনের নাম প্রস্তাব করবে। পরে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটি (সরকার ও বিরোধী দলের সমন্বয়ে) তা পরীক্ষা করে বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে।

ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, সৎ বিবেচিত না হলে, বৈধ আয়ের ভিত্তিতে জীবন নির্বাহ না করলে, জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল বা অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হলে, রাজনৈতিক দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচনের ইচ্ছা প্রকাশ করলে এবং তার প্রার্থিতা বিবেচনার তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে সাধারণ ঋণ গ্রহীতা, কোম্পানির পরিচালক বা অংশীদার হিসেবে ঋণ বা ঋণের কোনো কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে থাকলে ওই ব্যক্তি সিইসি বা নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

যদিও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সাবেক সিইসি শামসুল হুদা বলেছেন, সংসদের চেহারা এমন হবে, তা তারা খসড়া তৈরির সময় ধারণা করতে পারেননি। তাই সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বিষয়টি তখন যতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, এখন তা নেই।

সুজনের প্রস্তাব : সর্বশেষ চলতি বছরের ১৮ নভেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের হাতে একটি প্রস্তাব তুলে দেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

'প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২১' শিরোনামে 'খসড়া আইনে' বলা হয়, সিইসি ও অন্যান্য কমিশনারকে বাংলাদেশি নাগরিক, কমপক্ষে ৪৫ বছর বয়সী, স্নাতক, দক্ষ, সৎ, নিরপেক্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে ২০ বছরের অভিজ্ঞ হতে হবে।

এমন যোগ্যতাসম্পন্ন অনূ্যন ১৫ এবং সর্বোচ্চ ২০ ব্যক্তিকে নিয়ে প্রাথমিক তালিকা করবে অনুসন্ধান কমিটি। যাতে কমপক্ষে পাঁচজন নারী থাকবে। সাত সদস্যের অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক হবেন আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। সদস্য হবেন সংসদ নেতা, বিরোধী দল নেতা, সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল মনোনীত একজন করে তিনজন এমপি। মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কমিটির সদস্য হবে। এই পাঁচজনের সর্বসম্মতিক্রমে বা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতে নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমের একজন করে প্রতিনিধি কমিটির সদস্য হবে।

ইসির কাজের ধারাবাহিকতায় পূর্ববর্তী কমিশনের জ্যেষ্ঠ সদস্যকে পরে সিইসি নিয়োগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে 'খসড়া'র সাত ধারায়। তবে দুর্নীতি বা গুরুতর অসদাচরণে জড়িত হলে নিয়োগ পাবেন না।

প্রাথমিক তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের সম্মতিক্রমে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। তার যোগ্যতা ও সম্পদের হিসাব হলফনামা আকারে প্রকাশ করা হবে। গণশুনানি ও তালিকা থাকাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে দু'জন নারীসহ সাতজনের প্যানেল তৈরি করবে অনুসন্ধান কমিটি। কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্যানেল তৈরি করবে। প্যানেল থেকে রাষ্ট্রপতি সিইসি ও অপর চার কমিশনার নিয়োগ করবেন। কোনো পদ শূন্য থাকলে রাষ্ট্রপতি তা প্রাথমিক তালিকা থেকে পূরণ করবেন। অনুসন্ধান কমিটি অনূ্যন এক মাস এবং সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে প্রাথমিক তালিকা এবং তা থেকে সাতজনের প্যানেল তৈরির কাজ সম্পন্ন করবে।

মন্ত্রিসভার অনুমোদিত খসড়া আইন সম্পর্কে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সরকারের সদিচ্ছা ও স্বচ্ছতা। বর্তমান কমিশন গঠন করা হয়েছিল সার্চ কমিটির মাধ্যমে। তার ফল যা হয়েছে সবাই দেখেছে। আগের মতো আবারও সার্চ কমিটি গঠন করা হলে একই ফল আসবে। সূত্র : সমকাল। 

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!