• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

স্ট্রোকের ঝুঁকিতে প্রতি চারজনের একজন


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২৬, ২০২০, ০৬:২৮ পিএম
স্ট্রোকের ঝুঁকিতে প্রতি চারজনের একজন

ঢাকা : বিশ্বে সর্বাধিক মৃত্যু তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্ট্রোক। প্রতি চারজনে একজন স্ট্রোকের ঝুঁকিতে। প্রতি ছয় সেকেন্ডে একজনের এতে মৃত্যু হয়।

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে রোববার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের আতা এলাহী খান মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এ তথ্য জানান। স্ট্রোকে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসাসেবা দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চালু হয়েছে ক্যাথল্যাব।

কর্মশালায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হচ্ছে মায়ের মতো। এখানে কোনো রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। তবে এ হাসপাতালে স্ট্রোক ইউনিট নেই এটা শুনে আমি অবাক হয়েছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন ক্যাথল্যাব চালু হয়েছে। এখান থেকে সাধারণ মানুষ বিশ্বমানের সেবা পাবেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিনের প্রশংসা করে বলেন, তিনি এই হাসপাতালের প্রভূত উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি একজন রোগীবান্ধব চিকিৎসক। সামরিক বাহিনীর একজন সদস্য অত্যন্ত মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ। রোগীদের উপকার হবে এমন অনেক কাজ তিনি এই হাসপাতালের জন্য করেছেন। অন্য পরিচালকদের যেসব বিষয়ে গুরুত্ব বুঝিয়েও আদায় করা যেত না। তিনি আরো কিছুদিন থাকলে আমাদের এই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার অনেক উপকার হতো। তিনি বিদায় নিতে যাচ্ছেন। নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক এসেছেন, আমরা প্রত্যাশা করি তিনিও এ হাসপাতালের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, আমি এ হাসপাতালে আরো কিছুদিন আছি। এখানকার কর্মরত চিকিৎসক খুব মিস করব। সাধারণ মানুষের সেবায় এ হাসপাতাল বিশেষ অবদান রেখেছে। এ হাসপাতাল পরিচালনার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চাই। দায়িত্ব সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে যে কোনো পরামর্শ আপনারা আমাদের দেবেন।

মেডিকেল সায়েন্সকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কোভিডে চিকিৎসকরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন। আমি এই প্রবীণ বয়সে একদিনও হাসপাতালে আসা বাদ দিইনি।’ এজন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আরো দায়িত্ববান হওয়ার প্রতি আহ্বান জানান দেশের প্রখ্যাত এ নিউরোসার্জন।

ডা. কানিজ ফাতেমা রিফাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. রাজিউল হক।  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে স্ট্রোক রোগীদের নানা তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বক্তব্য দেন ঢাকা মেডিকেলের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহমেদ হোসাইন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডা. মুতাসিম হাসান শিপলু প্রমুখ।

কর্মশালায় প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সচিত্র তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম ও ডা. মো. সুমন রানা। এছাড়া স্ট্রোক নিয়ে একটি বুকলেটের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. অসীত চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, ঢামেক হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, ঢামেক হাসপাতালের এনেস্থেশিয়া ও আইসিইউ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. মোজাফফর হোসাইন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!