ঢাকা: সাবেক স্বামীর পেট্রলের আগুনে দগ্ধ ডা. লতা আক্তারের চিকিৎসার খোঁজ নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে তিনি লতার খোঁজ নেন।
ডা. লতা আক্তারের শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তারা জানান, লতার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। রোগীর ডায়িং ডিক্লারেশন নেওয়া হয়েছে। তিনি এখন মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে আইসিইউ ১৫ নম্বর বেডে আছেন।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘এই ঘটনাটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক, হৃদয়বিদারক ও দুঃখজনক। এমন ঘটনায় আসলে কেউই লাভবান হয় না, শুধু নিজেদেরই ক্ষতি হয়। পেট্রলে পুড়ে যাওয়া আমাদের এই চিকিৎসক রোগীর প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে সুস্থ করা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তবে রোগীকে সুস্থ করতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সব ধরনের চেষ্টাই আমাদেরকে অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা আমাদের সাধ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে চাই এই রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।’
গত রবিবার নরসিংদীর রায়পুরায় ডা. লতা আক্তারের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেন তার সাবেক স্বামী মো. খলিলুর রহমান। পরে নিজের শরীরেও আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। এতে তারা দুজন দগ্ধ হন। ওই দিনই তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। গতকাল সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় খলিলুর মারা যান।
ডা. লতা আক্তারের খালু মো. ফরহাদ হোসেন গতকাল জানান, লতা বেশ কিছু দিন আগে শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি এখন একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। দুই বছর আগে খলিলুর রহমান নামের এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে লতার। পরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছু দিন পর জানতে পারেন ওই ছেলে একজন চালক। পরে লতা তার স্বামীকে ডিভোর্স দেন। এটা মানতে পারেননি খলিলুর রহমান।
ফরহাদ হোসেন আরও জানান, ওই ঘটনার জেরে খলিলুর রবিবার লতার গ্রামের বাড়ি আসেন। এ সময় একটি কক্ষের দরজা লাগিয়ে তারা দুজন কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে লতার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে নিজের শরীরেও আগুন দেন খলিলুর। তখন তাদের চিৎকারে স্বজন ও আশেপাশের লোকজন এসে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
এমএস