ঢাকা : গরমে ব্লাড প্রেশারের রোগীদের অনেকেরই প্রেশার কমে যায়। এর ফলে ঘোরে মাথা, শরীরে বাসা বাঁধে অস্বস্তি। তাই গরমের এই সময়টাতে কী করবেন জেনে নিন
হাই ব্লাড প্রেশার গুরুতর ক্রনিক রোগ। তাই নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি খেয়ে যেতে হবে ওষুধ। তাতেই কিন্তু রোগ থাকবে নিয়ন্ত্রণে। হাই ব্লাড প্রেশার রোগীদের অনেকেই হুট করে চিকিৎসককে না জানিয়ে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে নেন। ভাবেন, ওষুধ না খেয়েও বোধহয় অনায়াসে সুস্থ থাকা সম্ভব হবে। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাদের পিছু নেয় স্ট্রোক, হার্ট ডিজিজ, কিডনি ডিজিজের মতো জটিল অসুখ। তাই হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ে সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে সারাজীবনই নিয়ম করে খেতে হবে ওষুধ।
গরমে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে সোডিয়াম বেরিয়ে যায়। আর দেহ থেকে সোডিয়াম বেরিয়ে গেলে যে এমনিতেই ব্লাড প্রেশার কমে যাবে, তা তো বলাই বাহুল্য! আর তার ওপর আপনি যদি আবার হাই পাওয়ারের প্রেশারের ওষুধ খান, তাহলে যে রক্তচাপ আরও কমে যাবে। তাই গরম পড়ার পরই হাই ব্লাড প্রেশার রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এবং তার পরামর্শ মেনে ওষুধ সেবন করুন।
সবসময় যে ওষুধ বদলেই দেওয়া হয়, এমন নয়। বরং যাদের ব্লাড প্রেশার খুব একটা বেশি নয়, তাদের অনেক ক্ষেত্রেই গরমের দিনে ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর দাবদাহ একটু কমলে সেই মতো আবার ওষুধ খেতে বলেন। এ ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার পুরোপুরি ওষুধ বন্ধ না করে তার ডোজ কমিয়ে দেওয়া হয়। তাতেই রোগী ভালো থাকেন। এখন সব বাড়িতেই প্রায় প্রেশার মাপার যন্ত্র রয়েছে। তাই এ সময় ওষুধ বদলে দেওয়ার পর বা ওষুধ বন্ধ করার পর নিয়মিত নিজের প্রেশার মাপুন। আর প্রেশার রিডিংয়ে কোনো গড়বড় দেখলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার কাছে নিজের সমস্যার কথা খুলে বলুন। নিয়ম মেনে চললেই গরমের দিনেও অনায়াসে হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
গরমের এই সময়টাতে বাইরের খাবার খাওয়া চলবে না। পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার খান। সেই সঙ্গে কিডনির অসুখ না
থাকলে দিনে কমপক্ষে ৩.৫ থেকে ৪ লিটার পানি পান মাস্ট। আর যেই সব ব্লাড প্রেশার রোগী এই গরমেও রোদ মাথায় কাজ করছেন, তারা লবণ পানি না খেয়ে পান করুন ওআরএস।
এমটিআই