ঢাকা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য দীন মো. নূরুল হক বলেছেন, ৪০ বছরের চিকিৎসা পেশায় কোনো দিন রোগীদের অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দিইনি।
কিন্তু বর্তমানে দেখা যায়, কোনো কোনো চিকিৎসক অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দেন। টেস্টের মূল্য থেকে একটা কমিশন পান। এটা যেন না হয়। কারণ চিকিৎসাসেবা এবং চিকিৎসকদের জন্য মেডিকেল ইথিক্স ও লিগ্যাল ইস্যুজ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত ধারণা থাকা আবশ্যক।
রোববার (৭ জুলাই) বিএসএমএমইউ’র এ ব্লক মিলনায়তনে ‘মেডিকেল ইথিক্স ও লিগ্যাল ইস্যুজ’ নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, রোগীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করতে হবে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব রোগীকে যথাযথ সময় দিতে হবে। রোগীদের বিশ্বাস অর্জন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে এটা ম্লান হয়ে গেছে। কোনো কোনো সার্জন প্রয়োজন ছাড়াই রোগীর অপারেশন করেন। এটাও বন্ধ করতে হবে।
অপারেশন থিয়েটারে অপ্রয়োজনে অনেক ওষুধ লেখা হয়, সার্জিক্যাল আইটেম রোগীর স্বজনকে দিয়ে কেনানো হয়। পরে আবার ফার্মেসিতে সেগুলো বিক্রি করা হয়। এসব পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।
অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওএসবি) ইথিক্স অ্যান্ড প্রফেশনালিজম সাব কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউ’র সাবেক ডিন ও বিএমডিসির ইসি মেম্বার অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান ও বিএসএমএমইউর ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
ওএসবি-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. লিয়াকত হোসেন, অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
এমটিআই