ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের রাজ্যগুলো থেকে ফলাফলের আভাস আসতে শুরু করেছে। হোয়াইট হাউজে যাওয়ার দৌড়ে ব্যাটেলগ্রাউন্ড বলে পরিচিত এখানকার অনেকগুলো অঙ্গরাজ্যের ভোট অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচনে জিততে হলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফ্লোরিডা এবং জর্জিয়ায় জিততেই হবে। ফ্লোরিডায় ইলেকটোরাল কলেজের ভোট রয়েছে ২৯টি।
এই দুটি রাজ্যে জয় পাওয়াটা জো বাইডেনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফ্লোরিডা থেকে এখন পর্যন্ত যে ফলাফলের আভাস আসছে - তাকে 'মিশ্র' বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বাইডেন যদি এ দুটি রাজ্যের অন্তত একটিতে জিততে পারেন, তাহলে হয়তো বেশ আগেভাগেই তার প্রেসিডেন্ট হওয়া নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে যদি ট্রাম্প এ দুটি রাজ্য নিজের হাতে রাখতে পারেন - তাহলে পর্যবেক্ষকদের নজর ঘুরে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং মধ্য-পশ্চিমের শিল্পকারখানা-সমৃদ্ধ রাজ্যগুলোর দিকে।
অনেকগুলো রাজ্যে ভোট গ্রহণ বন্ধ হতে শুরু করেছে। তার মানে হলো এখন এসব রাজ্য থেকে ফলাফলের আভাস পাওয়া যাবে।
তবে এসব পূর্বাভাস তখনি দেয়া হয়, যখন কে বিজয়ী হতে যাচ্ছে, সেই সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে মাস জুড়ে চলা ভোট গ্রহণ, নির্বাচনের দিনের বুথ ফেরত জরিপ এবং কিছুটা জমা পড়া ভোট গণনার ফলাফলের ভিত্তিতে।
অনেক বেশি আগাম ভোট পড়ার কারণে অনেক রাজ্যে ভোট গণনা শেষ হতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশে এখন দিন হলেও যুক্তরাষ্ট্রে এখন রাত। নির্বাচনী রাতে এখনো বড় ধরণের কিছু ঘটেনি বা বড় কোনো খবর আসেনি।
কোন প্রার্থী সম্পর্কে কতটা খবর পাওয়া যাচ্ছে?
ডোনাল্ড ট্রাম্প ইন্ডিয়ানা, আরাকানসাস, ওকলাহোমা, কেন্টাকি আর টেনেসিতে জয় পেতে যাচ্ছেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
জো বাইডেন ভারমন্ট, নিউইয়র্ক, ডেলওয়ার, ম্যারিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, নিউ জার্সি আর ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় জয় পেতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালের নির্বাচনের যে ফলাফল এসেছিল, সেটির বিচারে এসব রাজ্যের কোনোটিরই ফলাফল রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে হাতবদল হয়নি।
কিন্তু ব্যাটেলগ্রাউন্ড বলে পরিচিত রাজ্যগুলোর ফলাফল সম্পর্কে এখনো কোনো পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি, যেসব রাজ্যের ভোট জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
কখন ফলাফল জানা যাবে? রেজাল্ট নিয়ে আপত্তির সম্ভাবনা কতটা?
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি জো বাইডেন, কে বিজয়ী হয়েছেন, সেটা জানতে কয়েকদিন, এমনকি কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে।
সাধারণত ভোটের পরদিন ভোর হতে হতেই কে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন তা স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে কোন কোন সময় ভোটগণনা শেষ হতে কয়েকদিনও লেগে যেতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের ভোটের পর নিউইয়র্কে তার বিজয়ীর ভাষণ দিয়েছিলেন ভোররাত তিনটের দিকে, উল্লসিত সমর্থকদের সামনে একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে।
তবে কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল জানতে হয়তো কয়েকদিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
এর কারণ - এবার ডাকযোগে দেয়া ভোটের সংখ্যা অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সবশেষ যে নির্বাচনে ফলাফল পেতে দেরি হয়েছিল তা হলো ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
সেবার রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ বুশ ও ডেমোক্র্যাট অ্যাল গোরের মধ্যে এত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল যে তা নিয়ে শুরু হয় কয়েক সপ্তাহব্যাপী আইনী যুদ্ধ, যার পরিণামে ফ্লোরিডা রাজ্যের ভোট পুনর্গণনা করতে হয় এবং ব্যাপারটা সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়।
অবশেষে বুশকে জয়ী ঘোষণা করা হয়, ফলে তিনি ফ্লোরিডার ২৫টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যান। তাতে তার মোট ইলেকটোরাল ভোট দাঁড়ায় ২৭১ এবং বিজয় নিশ্চিত হয়। গোর পপুলার ভোট বেশি পেলেও পরাজয় স্বীকার করে নেন। তথ্যসূত্র-ইউএনবি
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :