ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রয়েছে প্রেমময় ও বেদনাবিধুর এক পারিবারিক জীবন। তার প্রথম স্ত্রী নিলিয়া হান্টার ও মেয়েকে তিনি হারান এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায়। নিজের বড় ছেলেকেও ক্যানসারে হারান ২০১০ সালে।
বাইডেন তার জীবনিগ্রন্থ 'প্রমিসেস টু কিপ' বইয়ে লিখেছেন, তিনি একবার বসন্তের ছুটি কাটাচ্ছিলেন বাহামা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী নিলিয়া হান্টারকে দেখতে পান। নিলিয়া তখন সূর্যস্নান করছিলেন এক পুলের পাশে। দেখেই তিনি তার হাসি ও নীল চোখের প্রেমে পড়ে যান। পরে তাদের সম্পর্ক প্রেম পর্যন্ত গড়ায়। বাইডেন বলেন, প্রথম দেখায় আমি তার দিক থেকে চোখ সরাতে পারছিলাম না।
এরপর ১৯৬৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। সাড়ে ছয় বছরের পারিবারিক জীবন শেষ হয় সড়ক দুর্ঘটনায়।
নিলিয়া সবচেয়ে কম বয়সে মার্কিন সিনেটর হওয়ার নির্বাচনী লড়াইয়ে বাইডেনকে অনেক সহযোগিতা করেন। সেই ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। সেদিন নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন নিলিয়া। এরপর এক ট্রাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি এবং তাদের একমাত্র কন্যা ১৩ বছর বয়সী অ্যামি নিহত হন। তাদের অপর দুই ছেলে বিউ পায়ে ও হান্টার মাথার খুলিতে আঘাত পান।
বইডেন আরো লেখেন, সেদিন তার মন বলছিল কিছু একটা খারাপ খবর আসছে। দুপুর বেলা অফিসে কাজ করার সময় তিনি তার বোনের ফোন পান। বোন বলার আগেই তিনি বলে বসেন, 'সে (নিলিয়া) কি আর নেই?'
এরপর ছেলে হান্টারকে হাসপাতালের বেডে রেখে সিনেটর হিসেবে শপথ নেন বাইডেন।
এরপর ১৯৭৫ সালে জিল জ্যাকবসের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ১৯৭৭ সাল বিয়ের আগে বাইডেন জিলকে জিজ্ঞেস করেন, 'আমার মনে প্রথম স্ত্রীর প্রতি এত প্রেম আছে জেনেও তুমি কেন আমাকে বিয়ে করছ?'
জবাবে জিল বলেন, 'যে একবার কাউকে ভালোবাসতে পারে, সে পরবর্তীতে অন্য কাউকেও ভালোবাসতে পারবে।'
২০১০ সালে তার বড় ছেলে বিউ বাইডেন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরবর্তীতে পরিবারের সম্মতিতে বিউর স্ত্রী ছোট ভাই হানটারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
বর্তমানে জিল ও বাইডেনের ঘরে রয়েছেন তাদের একমাত্র কন্যা অ্যাশলি। তিনি একজন আইনজীবী, সমাজকর্মী ও ফ্যাশন ডিজাইনার।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :