• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
আক্রান্ত ৬ কোটি সাড়ে ৭৫ লাখ

বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ছাড়াল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ৮, ২০২০, ১০:৫০ এএম
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ছাড়াল

ফাইল ছবি

ঢাকা: সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং একইসাথে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর মিছিলের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত যেন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ২৮০ জনে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬২৫ জনে।

জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- করোনা থেকে বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩৮ হাজার ১০৯ জন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে এক কোটি ৪৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।

ভারতে মোট আক্রান্ত ৯৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৭৩ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৬৬ লাখের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৭ জনের।

ভ্যাকসিন

এদিকে মহামারি এই করোনার প্রকোপ থেকে মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেকের তৈরি করোনার টিকা জরুরিভাবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ভ্যাকসিন ব্যবহারের এই অনুমোদন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও একধাপ অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।

পরিমাণের দিক দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কার করা কোভিড-১৯ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) কাছে আবেদন করেছে।

আরও পড়ুন: কোভিডের বিরুদ্ধে আইভারমেকটিনের কার্যকারিতা আশাব্যঞ্জক: আইসিডিডিআর,বি

সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পোনাওয়ালা এক টুইটে বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ভারতে উৎপাদিত প্রথম টিকা কোভিশিল্ড’র জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। এটি অসংখ্য জীবন বাঁচাবে।’

ভারতের ১৫ জায়গায় ১,৬০০ অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে বর্তমানে টিকাটির পরীক্ষা চলছে।

বিশ্বব্যাপী চালানো পরীক্ষার ফলে দেখা গেছে যে একজন ব্যক্তির মাঝে প্রথমে অর্ধেক ডোজ এবং পরে পূর্ণ এক ডোজ প্রয়োগ করা হলে এ টিকা সংক্রমণ প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর হয়ে থাকে।

ফাইজারের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর হলেও এর দাম অক্সফোর্ডের টিকার পাঁচগুণ বেশি হতে পারে এবং তা সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ টিকার দাম ৫০০ থেকে ৬০০ রুপি হবে বলে জানিয়েছেন আদর পোনাওয়ালা।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩৬ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৮৭৪ জনে। একদিনে নতুন করে ২ হাজার ১৯৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৩ জনে পৌঁছেছে।

২৪ ঘণ্টায় ১৩৭ ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৪ হাজার ৮৯৩টি। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৩৬৯টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩৮টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫.৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬.৬৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৬৬৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং নারী ১২ জন।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তথ্য-ইউএনবি

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!