• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
আরও ভয়ংকর রূপে করোনাভাইরাস

একদিনে শনাক্ত ৭ লাখ, মৃত্যু ১৪ হাজার


আর্ন্তজাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ২৪, ২০২০, ১০:৩১ এএম
একদিনে শনাক্ত ৭ লাখ, মৃত্যু ১৪ হাজার

ফাইল ফটো

ঢাকা: আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে মহামারি করোনাভাইরাস। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু ও সংক্রমণ। 

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী আরও প্রায় সাত লাখ মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে আরও প্রায় ১৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ২৯ হাজার ১৬৬ জনে। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ছিল ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়া করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৩ হাজার ৭৫২ জনে। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪৯ জন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে আরও ২ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত এক কোটি ৮৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মৃত্যু নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জনে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দুটি করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। ফাইজারের পর গত সপ্তাহে মর্ডানার ভ্যাকসিনও অনুমোদন দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।

পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।

ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৯ হাজার ছড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৪ জনের। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৭৩ লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ২২০ জনের।

এদিকে যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন যে করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, তা আরও সহজে ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে যা আশংকার কারণ। তবে ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট যে নতুন এই ‘ধরন’ (স্ট্রেইন) করোনা ভ্যাকসিনের জন্য হুমকি বা আরও মারাত্মক কোনো রোগের কারণ হতে পারে কিনা। তথ্য-ইউএনবি

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!