ঢাকা : বিশ্ব কখনো পুরোপুরি করোনামুক্ত হবে না। এমন আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। এছাড়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের গণসংক্রমণ প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। গত শুক্রবার সংস্থাটির আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা বিষয়ক কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে আগামী ১০০ দিনের মধ্যে প্রতিটি দেশে কারোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ অভিযান শুরুর সুপারিশ করেছে কমিটি। ভ্যাকসিন বণ্টনের বিষয়ে ধনী দেশগুলোর ‘ভূমিকা’ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বৈঠকে।
পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল টিমের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের উৎপত্তি ও সংক্রমণের উৎস চিহ্নিত করার কথা বলেছেন।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জিন প্রযুক্তির সাহায্যে ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সবগুলো স্ট্রেন চিহ্নিত করা প্রয়োজন। প্রয়োজন বিশ্বজুড়ে তথ্যের আদান-প্রদান। না হলে আরো বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কমিটির বৈঠকটি জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করে তা দু’সপ্তাহ এগিয়ে আনা হয়।
এদিকে নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরন। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের শীর্ষ বিজ্ঞানী প্রফেসর অ্যান্ড্রু পোলার্ড সতর্ক করে বলেছেন, এ বছর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের অনেক নতুন ধরন পাওয়া যাবে। গত শনিবার তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।
অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, ২০২১ সালে আমরা নতুন অনেক ধরনের করোনা দেখতে যাচ্ছি। আমাদের এর সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে।
নতুন ধরনের করোনা খুব দ্রুত শনাক্ত হচ্ছে জানিয়ে পোলার্ড আরো বলেন, নতুন ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হলেও আশা করছি আমরা খুব দ্রুত এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারব।
তবে ব্রিটেনের কর্তৃপক্ষের জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে করোনার যে নতুন ধরন পাওয়া গেছে তা বেশি সংক্রামক হলেও বেশি বিপজ্জনক নয়।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :