ঢাকা : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক স্কুলের পাশে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০ জন। দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স আহত ও নিহতের এ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। তবে ঘটনার পর দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৩০।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার কাবুলের হাজরা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় একটি স্কুলের পাশে শক্তিশালী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে এ পর্যন্ত ৫৫ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের বেশিরভাগই মেয়ে।
এ ঘটনার দায় এখনও কোনো সংগঠন স্বীকার করেনি। তবে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি উগ্রবাদী সংগঠন তালিবানকে এ সন্তাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী করেছেন।
আফগানিস্তানের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা যখন স্কুল থেকে বের হয়ে আসছিল তখন এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে অনেকেই গুরুতর আহত। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
টোলো টিভিতে প্রচারিত কিছু ফুটেজে দেখা গেছে, রক্তমাখা রাস্তায় শিক্ষার্থীদের বই, স্কুলব্যাগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।
রয়টার্সের খবরে জানা গেছে, স্কুলের সামনে রাখা ওই গাড়িটিতে মর্টার রাখা ছিল। বিস্ফোরক দিয়ে মর্টারসহ গাড়িটিকে উড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই এলাকাটি হজরা সম্প্রদায় অধ্যুষিত। হাজরা সম্প্রদায় মূলত মঙ্গোলিয়া বংশোদ্ভূত ও তাদের বেশিরভাগই শিয়া মুসলিম।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৩০ এপ্রিল আফগানিস্তানের পূর্ব লোগার প্রদেশের রাজধানী পুল-ই-আলমে এক গাড়ি বিস্ফোরণে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই বিস্ফোরণেরও লক্ষ্য ছিলো স্কুল শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র জোট ন্যাটো আফগানিস্তানে দীর্ঘ যুদ্ধের ইতি টানার পর থেকেই দেশটিতে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর সহিংস হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। গত বছর দেশটিতে পেশাজীবী নারীদের উপর প্রাণঘাতী সিরিজ হামলার ঘটনা ঘটে। চলতি বছরও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :