ঢাকা : আসন্ন ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এমনটাই জানা গেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেয়া গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এক গোপন প্রতিবেদনে।
৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বাইরের কোনো গোষ্ঠী এই সম্ভাব্য হামলা চালাতে পারে। ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসকে সামনে রেখে নাশকতার চক্রান্ত করা হচ্ছে। গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্য দেশটির উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, স্থাপনা ও জনসমাবেশে হামলা চালানো।
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দেশটির উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা ছাড়াও কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে রাজধানী দিল্লিকে। সম্প্রতি গাজিপুরের ফুলের বাজারে আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লিতে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম প্রযুক্তি সম্পন্ন ক্যামেরার পাশাপাশি ৩০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেমে প্রায় ৫০ হাজার সন্দেহভাজন অপরাধীর তথ্য থাকবে। ক্যামেরায় শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
করোনা বিধির কারণে প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানের মোট ৪ হাজার টিকিট বাজারে পাওয়া যাবে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ২৪ হাজার জন উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
নয়াদিল্লির পুলিশ কমিশনার দীপক যাদব জানিয়েছেন, জঙ্গি নাশকতার সম্ভাবনার পাশাপাশি বাড়তে থাকার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণও দিল্লি পুলিশের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। পুলিশকে রাজধানীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
দীপক যাদব জানিয়েছেন, ‘নয়াদিল্লি এলাকা ও তার আশপাশে বসবাসকারী ভাড়াটে এবং হোটেলগুলোতে থাকা অতিথিদের ওপর বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে তাদের পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়াও চলছে।
কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপের জন্য কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখা রয়েছে। উড়ন্ত কোনো বস্তু যেন নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করতে পারে, সেই কারণে অ্যান্টি ড্রোন টিমও মোতায়েন করা হচ্ছে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :