ঢাকা : শর্তসাপেক্ষে ফাইজারের কোভিড-১৯ ওষুধ প্যাক্সলোভিডের অনুমোদন দিয়েছে চীন। দেশটির কোভিড আক্রান্ত বয়স্ক নাগরিকদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই ওষুধ কিনতে চীন ফাইজারের সঙ্গে কোনো ধরণের চুক্তি করতে যাচ্ছে কিনা তা তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৪০টি দেশে অনুমোদন পেয়েছে এই ওষুধ। আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন না দিলেও সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে প্যাক্সলোভিড ব্যাবহারের কথা বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পরা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে গুরুতর অসুস্থ ও মৃতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে এই নির্দেশনা দিয়েছে ইইউ। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
ফাইজারের এক প্রতিনিধি জানান, চীনে প্যাক্সলোভিড অনুমোদন কোভিড-১৯ মোকাবেলার যুদ্ধে বড় মাইলফলক। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন যেমন করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে টার্গেট করে, প্যাক্সলোভিড সেভাবে কাজ করে না। ফলে বিবর্তনের মাধ্যমে স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন এলে ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা কমে আসে।
কিন্তু প্যাক্সলোভিডের এই সীমাবদ্ধতা নেই। ফলে এটি করোনার যে কোনো ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী।
শনিবার চীনের ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানায়, এই ওষুধ নিয়ে আরও গবেষণার দরকার রয়েছে। এটি পরে নিয়ন্ত্রকদের কাছে জমা দিতে হবে। এখন পর্যন্ত বিদেশি কোনো কোভিড ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়নি বেইজিং। ল্যাব টেস্টে চীনে তৈরি সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজারের থেকে দীর্ঘ সুরক্ষা দেয় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। দেশটির ৮৭.১ শতাংশ নাগরিককে দেশীয় ভ্যাকসিন প্রদান করেছে চীন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :