• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

যুক্তরাজ্যকে হটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে পঞ্চমে ভারত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ১০:৫৩ এএম
যুক্তরাজ্যকে হটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে পঞ্চমে ভারত

ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা : আরও এক ধাপ বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দৌড়ে এগিয়ে গেলো ভারত। এ তালিকায় যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে তারা। ফলে ব্রিটিশরা নেমে গেছে ষষ্ঠ অবস্থানে, যা লন্ডন সরকারকে আরও চাপের মধ্যে ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গের।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) জিডিপি পরিসংখ্যান বলছে, ভারত ২০২১ সালের শেষ তিন মাসে যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে এবং ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে ব্যবধান আরও বাড়িয়েছে। মার্কিন ডলারের ওপর ভিত্তি করে এ হিসাব করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে যুক্তরাজ্যের পতন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পটভূমি সৃষ্টি করেছে। আগামী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বরিস জনসনের উত্তরসূরী বেছে নেবেন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা। এ নির্বাচনে সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাককে হারিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিজয়ী যে-ই হোন না কেন, চার দশকের মধ্যে দ্রুততম মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি এবং মন্দার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির সম্মুখীন একটি দেশ পরিচালনার ভার নিতে হবে তাকে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ধারণা, এই মন্দা অন্তত ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলতে পারে।

বিপরীতে, ভারতের অর্থনীতি এ বছর সাত শতাংশের বেশি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শেষ তিন মাসে ভারতীয় শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াতে দেখা গেছে এবং এমএসসিআই উদীয়মান বাজার সূচকে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। এক্ষেত্রে কেবল চীনের পেছনে রয়েছে ভারত।

সমন্বয়ের ভিত্তিতে এবং সংশ্লিষ্ট প্রান্তিকের শেষ দিনে ডলারের বিনিময় হার ব্যবহার করে হিসাব করলে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ, অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে ‘ন্যূনতম’ নগদ অর্থে ভারতীয় অর্থনীতির আকার ছিল ৮৫ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার। একই সময় যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির আকার ছিল ৮১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।

যুক্তরাজ্য এরপর থেকে সম্ভবত আরও নিচে নেমেছে। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে নগদ অর্থের হিসাবে দেশটির জিডিপি মাত্র এক শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করলে তা উল্টো ০.১ শতাংশ সংকুচিত হয়। চলতি বছর মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার তুলনায় ব্রিটিশ পাউন্ডের পারফরম্যান্সও ছিল খারাপ। এসময়ে রুপির বিপরীতে আট শতাংশ দর হারিয়েছে পাউন্ড স্টার্লিং।

আইএমএফের পূর্বাভাস বলছে, ডলারের শর্তে বর্ষিক হিসাবে এ বছর যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে এশিয়ার পাওয়ারহাউজ ভারত। তাদের সামনে থাকছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও জার্মানি। অথচ এক দশক আগেও বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর মধ্যে ১১তম ছিল ভারত, আর যুক্তরাজ্য ছিল পঞ্চম। সূত্র: এনডিটিভি

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!