• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে সম্মত ভারত-বাংলাদেশ 


নিজস্ব প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২, ১১:০৯ এএম
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে সম্মত ভারত-বাংলাদেশ 

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা : বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি প্রাধান্য পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও সম্প্রসারিত ও দৃঢ় করতে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। হায়দরাবাদ হাউসে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার পর এই স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়।

দিল্লিতে এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা।

তিনি বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী সরবরাহ চেইন তৈরি করতে সম্মত হয়েছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বৃহত্তম বাজার ভারত। মহামারি সত্ত্বেও গত অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সর্বকালের সর্বোচ্চ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, এই উন্নতি বজায় রাখার জন্য উভয় নেতা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চলতি বছরে দ্বিপাক্ষিক কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিনয় মোহন কোয়াত্রা বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, জ্বালানি অংশীদারিত্ব, পানিবণ্টন, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারসহ দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো বিস্তৃত পরিসরে এবং ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন। তারা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতেও মতবিনিময় করেন।

উভয় নেতা যৌথভাবে মৈত্রী বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রূপসা সেতুর ইউনিট-১সহ গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এছাড়া তাদের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে পানি সম্পদ, সক্ষমতা বৃদ্ধি, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

সমঝোতা স্মারকগুলো হলো: কুশিয়ারা নদী থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলনের জন্য সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ ও ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, ভারতের ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি ও বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ ও ভারতের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও প্রসার ভারতীর মধ্যে সমঝোতা স্মারক, স্পেস টেকনোলজি বা মহাকাশ প্রযুক্তি খাতে সমঝোতা স্মারক।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লি পৌঁছান। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। সূত্র : এএনআই

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!