• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

হাসপাতালের বেডে তসলিমা নাসরিন!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ১২:২৯ পিএম
হাসপাতালের বেডে তসলিমা নাসরিন!

ঢাকা : বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বর্তমানে থাকছেন ভারতের নয়া দিল্লিতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সরব এই লেখিকা নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা গেছে তিনি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন। আর তার চারপাশে পাঁচজন দাঁড়িয়ে আছেন।

বেশ কয়েক দিন ধরেই ফেসবুকে তিনি ‘অদ্ভুত’ সব পোস্ট করছিলেন। কখনও মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করার কথা, কখনও বা তার মৃত্যু হয়েছে— লিখছিলেন।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকার ছবি পোস্ট করেন। তার এই ছবি পোস্টের পর প্রশ্ন জেগেছে কী হয়েছে তসলিমার? আগের পোস্টগুলোর সঙ্গে এই ছবির কি কোনও যোগসূত্র রয়েছে? তসলিমা যদিও তার ছবির সঙ্গে কোনও লেখা পোস্ট করেননি। ফলে বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে।

রাতে ছবি পোস্ট করার কিছুক্ষণ আগে তসলিমা কিছু নথি আপলোড করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (এমস) তিনি মরণোত্তর দেহদান করেছেন। একাধিক নথির একটিতে লেখা রয়েছে, তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই যেন হাসপাতালে খবর দেওয়া হয়। কারণ তার দেহদান করা হয়েছে। এছাড়া তিনি বেশ কিছু পুরনো পোস্টও শেয়ার করছেন কয়েক দিন ধরে। শেয়ার করা একটি পুরনো পোস্টে তিনি লিখেছিলেন ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি, ওই পোস্টের শেষে লেখা ছিল, ‘বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কত কিছু, জগত ও জীবনের কত কিছু অজানা রেখে আমাদের চলে যেতে হয়!’

গত ৬ জানুয়ারি তসলিমা তার এক বন্ধুর সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘৮০ কিলো থেকে চেষ্টা চরিত্তির করে ৮ মাসে হয়েছিলাম ৫২ কিলো। ৫২র হাড় সর্বস্ব শরীর দেখে ভয়ে পিছু হটতে শুরু করলাম। ২ মাসে তড়িঘড়ি ওজন বাড়িয়ে করলাম ৫৬.৫ কিলো। এখানেই থেমে থাকুক চাইছি।’ এই পোস্ট থেকে স্পষ্ট, তসলিমা ওজন কমাচ্ছিলেন।

তবে সবচেয়ে বিভ্রান্তি বাড়িয়েছে গত ১৪ জানুয়ারি, দুপুর দেড়টায় করা তসলিমার পোস্টটি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘গতকাল ঠিক এই সময় মৃত্যু হয়েছে আমার। এখন ফিউনারেল (শেষকৃত্য) চলছে।’ এর পর ১৫ জানুয়ারি, সকাল ৬টা ১১ মিনিটে লিখছেন, ‘আমার মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করা হয়েছে।’

তবে তসলিমা তো বটেই, তার ঘনিষ্ঠদের সূত্রেও রোববার গভীর রাত পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি, কী হয়েছে লেখিকার!

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!