• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

২০৩০ সালের মধ্যেই ক্যানসার-হৃদরোগের টিকা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ৯, ২০২৩, ০১:০৬ পিএম
২০৩০ সালের মধ্যেই ক্যানসার-হৃদরোগের টিকা

ঢাকা : আগামী ৫ বছরের মধ্যে ক্যানসার এবং হৃদরোগের টিকা উদ্ভাবনের ব্যাপারে আশার কথা শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এ টিকা আবিষ্কারের ফলে লাখো মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।

ক্যানসার-কার্ডিওভাসকুলার-অটোইমিউনের মতো রোগের টিকা ২০৩০ সালের মধ্যেই তৈরি করা সম্ভব হবে। খবর গার্ডিয়ান।

গবেষকরা বলছেন, কভিড টিকাকে এ জন্য ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। অল্প সময়ে কভিডের টিকা বের হওয়ায় বিষয়টি গবেষণাকে গতি দিয়েছে। শীর্ষ ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান মডার্না বলছে, এ টিকার গবেষণা দারুণ আশা দেখাচ্ছে।

মডার্নার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. পল বার্টন বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে প্রায় সব ধরনের রোগের চিকিৎসা দিতে পারবে মডার্না। করোনার টিকার উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানটি এখন বিভিন্ন ধরনের টিউমারকে লক্ষ্য করে ক্যানসারের টিকা তৈরি করছে।

বার্টন আরও বলেন, আমাদের কাছে টিকা থাকবে এবং সেটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। এটি কোটি মানুষের প্রাণ না বাঁচালেও লাখো মানুষ এটি নিয়ে উপকৃত হবে।

এমআরএনএ টিকার মাধ্যমে কভিড-১৯ আক্রান্তকারী ভাইরাসের নির্দোষ স্পাইক প্রোটিনগুলোকে মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো শরীরে জিনগত নির্দেশনা দিয়ে থাকে। নির্দেশনাগুলো টিকা নেওয়া মানুষের শরীরে তখন স্পাইক প্রোটিন তৈরি শুরু করে।

এ প্রোটিন বা অ্যান্টিজেনগুলো ক্ষতিকর সেলগুলোকে শনাক্ত করতে বিজ্ঞপ্তির মতো এক ধরনের বার্তা দেয়। এরা তখন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বলে দেয় কী করতে হবে এবং কাকে খুঁজতে হবে।

ডা, পল বার্টন বলেন, ক্যানসারের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যেখানে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্যানসারের সেলকে নষ্ট করে ফেলবে। আমি মনে করি, আমাদের কাছে বিরল রোগের জন্য এমআরএনএভিত্তিক থেরাপি থাকবে।

এখন থেকে ১০ বছর পর আমরা এমন একটি বিশ্বের কাছে চলে যাব, যেখানে আপনি সত্যিকার অর্থে একটি রোগের জেনেটিক কারণ শনাক্ত করতে পারবেন। তখন এমআরএনএভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটিকে ঠিক করা যাবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!