• ঢাকা
  • রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সিত্তে শহর তছনছ, শক্তি কমে রাখাইনের অভ্যন্তরে ‘মোখা’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ১৪, ২০২৩, ০৪:৫৯ পিএম
সিত্তে শহর তছনছ, শক্তি কমে রাখাইনের অভ্যন্তরে ‘মোখা’

ঢাকা: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলে আঘাত হেনে এগিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। রোববার (১৪ মে) দেশটির স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিনের পাশ ঘেষে রাখাইনের সিত্তে উপকূলে প্রবেশ করে মোখা। ঝড়ের প্রভাবে শহরটি অধিকাংশ বাড়িঘর তছনছ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম মিয়ানমার নাও। বিকেল ৫টা নাগাদ শক্তি কমিয়ে রাইখাইনের অভ্যন্তরে কুন জুয়ে শহরের কাছে অবস্থান করছিল মোখা।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শক্তিশালী ঝড়ো বাতাসের কারণে রাজ্যের রাজধানী শহরটির বিভিন্ন ভবন কেঁপে কেঁপে উঠছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারে ৩জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় মিয়ানমারের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার (কিমি) বেগে বাতাসের গতি নিয়ে সিত্তে শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি বেলা সাড়ে ১১টায় সিত্তের প্রায় ৮০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংডুর ৮৫ মাইল দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং রাখাইনের কিয়াকফিউ থেকে ১০০ মাইল পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

মিয়ানমার নাও জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে রোববার দুপুরে সিত্তের একটি মোবাইল অপারেটরের টাওয়ার ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। এ ছাড়া শহরটির বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং গাছপালাও ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।

এদিকে মোখার তাণ্ডবে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে কক্সবাজারের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সেন্টমার্টিন এবং উপকূলীয় থানা টেকনাফ এলাকা। সমুদ্রের পানিতে ভাসছে সেন্টমার্টিনের একাংশ। সেখানে ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উপড়ে গেছে। সেন্টমার্টিনে গাছ পড়ে দুইজন নারী-পুরুষ নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আহত হয়েছেন অনেকেই।

রোববার (১৪ মে) দুপুরের দিকে সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন স্থানে এমন পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

চেয়ারম্যান বলেন, এই মুহূর্তে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি প্রচুর। অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুনেছি গাছ পরে এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। কিন্তু বৈরী পরিবেশের কারণে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, বাতাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর। সমুদ্রের পানি বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। বিচের ভেজা মাটি তুলে নিচ্ছে তীব্র বাতাসে। মানুষের ঘর বাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। বড় বড় গাছ ও নারিকেল গাছ দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। পুরো সেন্টমার্টিনে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সব ধোঁয়াশা হয়ে আছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে মোখার প্রভাবে সেন্টমার্টিনে ১০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস ছিলো। 

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!