ঢাকা : যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ১১ কোটিতে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। মূলত ইউক্রেন এবং সুদান যুদ্ধ ও আফগানিস্তানে সরকার বদলের কারণে কারণে লাখ লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (১৪ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
বুধবার (১৪ জুন) সবশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ফোর্সড ডিসপ্লেসমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইউএনএইচসিআর। সেখানে বলা হয়, গত বছর প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
জেনেভায় আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি সাংবাদিকদের বলেন, সুদানের আট সপ্তাহের সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুতির সংখ্যাটি আরও বেড়ে অন্তত ১১ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, এটি বিভিন্ন রাষ্ট্রের ওপর একটি অভিযোগের বিষয় যা প্রকাশ করা উচিত।
গ্র্যান্ডি আরো বলেন, সম্পূর্ণ পরিসংখ্যানে এমন ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন যারা তাদের নিজের দেশের মধ্যে নিরাপত্তা খুঁজছেন আবার যারা সীমান্ত অতিক্রম করেছেন তারাও রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট সংখ্যার প্রায় ৩৭.৫ শতাংশই শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থী।
তিনি বলেন, ২০১১ সালে সিরিয়া যুদ্ধের আগে উদ্বাস্তু এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ছিল প্রায় ৪ কোটি মানুষ। এরপর প্রায় ২০ বছর ধরে এই সংখ্যা অনেকটাই স্থিতিশীল থাকলেও তারপর থেকে প্রতি বছরই এই সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট শরণার্থী এবং যাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন তাদের প্রায় অর্ধেক মাত্র তিনটি দেশ থেকে এসেছে। দেশগুলো হলো- সিরিয়া, ইউক্রেন এবং আফগানিস্তান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত বছর নিজ দেশে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩০০ শরণার্থী। অন্যদিকে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩০০ জনকে তৃতীয় দেশে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল। যা আগের বছর ২০২১ সালের তুলনায় দ্বিগুণ।
সোনালীনিউজ/এমটিআই