ঢাকা: বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে রাশিয়ার শক্তিশালী বেসরকারি ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার। দখল করে নিয়েছে দেশটির দুইটি শহরের সামরিক সব স্থাপনা। রাশিয়ার রোস্তভ-অন-দনের পর ভোরোনেজ শহরের সব সামরিক স্থাপনা ওয়াগনার দখলে নিয়েছে।
গ্রুপটির প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের এই কর্মকাণ্ডকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ আখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরই মধ্যে রুশবাহিনী ও ওয়াগনারের যোদ্ধারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। বিদ্রোহ দমনে ইতোমধ্যে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কার্যালয় ক্রেমলিন।
রাশিয়ার অভ্যন্তরে এমন ঘটনা নিয়ে বিদ্রুপের সুরে টুইট করেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এমন অবস্থায় রাশিয়ায় শান্তিপূর্ণ সমাধানে তুরস্ক প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন এরদোগান।
শনিবার (২৪ জুন) এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
তুরস্কের প্রসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এরদোগান সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এরদোগান আরও বলেন, রাশিয়ায় যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার শান্তিপূর্ণ সমাধানে রাশিয়া প্রস্তুত এবং তা যত দ্রুত সম্ভব করা হবে।
মস্কো থেকে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সক্ষাৎকারে একজন স্বাধীন সামরিক ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক জানিয়েছেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম এত বড় সংকটের মধ্যে পড়েছে পুতিন।
বিশ্লেষক পাভেল ফেলগেনহাওয়ার বলেন, ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও রুশ নেতৃত্বের জন্য সত্যিই এটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
ফেলগেনহাওয়ার বলেন, গত ২২ বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়ায় ক্ষমতায় রয়েছেন পুতিন। এত বড় সংকটে আগে কখনো পড়েননি তিনি। এখন দৃশ্যমান চ্যালেঞ্জের মুখে পুতিনের নেতৃত্ব। তাই আমি বিশ্বাস করি এখন তিনি তার জীবনের যুদ্ধ করবেন, যা খুবই মারাত্মক।
সোনালীনিউজ/আইএ