• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইস্যুতে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র


নিউজ ডেস্ক জুন ২৭, ২০২৩, ০৫:৩৪ পিএম
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইস্যুতে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ইজারা নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কখনো কোনো ধরনের আলোচনায় জড়ায়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এই ইস্যুতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যেসব কথাবার্তা চলছে, সেগুলো ‘সঠিক নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। 

গত সোমবার (২৬ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

ব্রিফিংয়ের প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট মার্টিন দ্বীপ দখল করতে এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেটি বিক্রি করতে চায়। এ কারণে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে।

এরপর ওই সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চান, এগুলো বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠীর ছড়ানো ভুল তথ্য কি না? আর সেন্ট মার্টিন আসলেই এত গুরুত্বপূর্ণ কি না?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, আমি শুধু বলবো, এটি সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নেওয়ার বিষয়ে আমরা কখনো কোনো ধরনের আলোচনায় যুক্ত হইনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বকে আমরা গুরুত্ব দেই। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সমর্থনসহ গণতন্ত্রের প্রচারে একসঙ্গে কাজ করে সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে চাই।

বাংলাদেশের নির্বাচনে ‘বাধাদানকারীদের’ ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেস সদস্য। চিঠিতে বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের সুযোগ করে দিতে কঠোর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সেনাদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশিদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো লোকদের বাংলাদেশের ‘শত্রু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

গত রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ১০ বছর ধরে কাজ করছে। ১৬৯ জন জীবন দিয়েছেন। এ অর্জনকে যারা খাটো করে দেখছেন, ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তারা বাংলাদেশের বন্ধু নন, শত্রু। তারা কংগ্রেসম্যান, নাগরিক, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী যে-ই হোন, তারা শত্রু। তাদের যারা টাকা দিয়ে প্রভাবিত করেছেন, তারাও যে বাংলাদেশের শত্রু।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চিঠিদাতা কংগ্রেস সদস্যদের ‘শত্রু’ বলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ম্যাথিউ মিলার বলেন, চিঠিটি আমি দেখিনি। কোনো মন্তব্য করার আগে আমি চিঠিটি দেখতে চাই।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!