• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইউক্রেনকে বিতর্কিত বোমা দেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ৮, ২০২৩, ১০:০৭ এএম
ইউক্রেনকে বিতর্কিত বোমা দেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

ঢাকা: কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বারবার অস্ত্র চেয়েছে ইউক্রেন। নিজেদের অস্ত্রভান্ডার ফুরিয়ে আসার আগে দ্রুত তা সরবারহের আহ্বান জানিয়ে আসছিল দেশটি।

অবশেষে তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনকে বিতর্কিত গুচ্ছ বোমা বা ক্লাস্টার বোমা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ জোরদার করতে কিয়েভকে অস্ত্র সহায়তার অংশ হিসেবে এই বোমা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবিস্ফোরিত বোমার কারণে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হতে পারে-এমন ভাবনা থেকে মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা সরবরাহের বিষয়টি দীর্ঘদিন আটকে রেখেছিল।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (৭ জুলাই) হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বেসামরিক মানুষের সম্ভাব্য ক্ষতি কমিয়ে আনার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে রাশিয়া। তাই যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে এই অস্ত্র দিক কিংবা না দিক, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

জ্যাক সুলিভান আরও বলেন, অন্য দেশের ভূখণ্ডে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউক্রেন। শুধু নিজেদের সীমানায় পাল্টা আক্রমণ চালাতে এটা ব্যবহার করবে কিয়েভের সেনারা।

ক্লাস্টার বোমার বিশেষত্ব হলো, এতে একাধিক বিস্ফোরক বোম্বলেট থাকে। বছরের পর বছর এই বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকতে পারে। যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তীতে যেকোন সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এ কারণে বোমাটিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ইউক্রেনের এলাকা দখলের পর রুশ বাহিনী বিভিন্ন সময় রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেওয়া ইউক্রেনীয়দের ধরে নিয়ে যায়। তাদের অনেকের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের ইজিয়াম শহরের কাছের একটি গণকবর থেকে চার শতাধিক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বেসামরিক মানুষের মৃত্যুঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ১০০টির বেশি দেশে ক্লাস্টার বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এখন ইউক্রেনকে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যেসব ক্লাস্টার বোমা মজুত আছে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তৈরি। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের তুলনায় রাশিয়ার কাছে ক্লাস্টার বোমার মজুত বেশি রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!