• ঢাকা
  • বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

সুইডেনকে দ্রুত ন্যাটোতে চাই, এরদোয়ানকে বাইডেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ১০, ২০২৩, ০৯:৫৮ এএম
সুইডেনকে দ্রুত ন্যাটোতে চাই, এরদোয়ানকে বাইডেন

ঢাকা: যত দ্রুত সম্ভব’ সুইডেনকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হিসেবে দেখতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাইডেন।   

সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিষয়টি তুরস্ক ও হাঙ্গেরির বাধার কারণে আটকে রয়েছে। কেননা, ন্যাটোর নিয়ম অনুযায়ী, নতুন সদস্য যুক্ত করতে হলে আগের সব সদস্যদেশের সম্মতির প্রয়োজন হয়।

এ পরিস্থিতিতে সামরিক জোটটির শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে এরদোয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললেন বাইডেন। দুই নেতার ফোনালাপের বিষয়টি গতকাল রোববার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের যোগাযোগ পরিদপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মধ্য দিয়ে তুরস্কের চাওয়া পূরণে উদ্যোগ নিয়েছে স্টকহোম। কিন্তু সুইডেনে এখনো কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। এ কারণে স্কটহোমের এসব উদ্যোগ ফলপ্রসূ হচ্ছে না। ফোনালাপে বিষয়টি বাইডেনকে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।

এ ছাড়া তুরস্ককে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে কথা হয়েছে বাইডেন ও এরদোয়ানের। লিথুনিয়ার ভিলনিয়াসে বসতে যাচ্ছে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন। এ সময় সেখানে মুখোমুখি বৈঠকের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বাইডেন ও এরদোয়ান।

গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার পথে বাধা তুলে নেওয়ার জন্য তুরস্ককে রাজি করাতে ব্যর্থ হয় সুইডেন। ওই বৈঠকে তুরস্ক জানায়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্টকহোম আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে-এমনটাই চাওয়া তাদের।

এ পরিস্থিতিতে সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনকে বৈঠক করতে অনুরোধ করবেন। আজ সোমবার ভিলনিয়াসে এ বৈঠক হতে পারে।

নানামুখী আলোচনা-সমালোচনার পর ন্যাটো জোটের সদস্য হতে গত বছর আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছিল সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটি কয়েক দশকের নিরপেক্ষতার নীতি ত্যাগ করে। মূলত, রাশিয়ার আগ্রাসনের ভয়ে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য হতে চায়।

গত এপ্রিলে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত পায় ফিনল্যান্ড। কিন্তু সুইডেনের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। ন্যাটোর এবারের শীর্ষ সম্মেলনে সুইডেনের সদস্য হওয়ার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেতে পারে।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!