ঢাকা: বিশ্বজুড়ে চলা করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১২ কোটির ও বেশি। পুরো বিশ্বে সর্বমোট ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ কোটি ৫০ লাখে, বলছে জাতিসংঘ।
বুধবার (১২ জুলাই) বাৎসরিক ‘স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বৈশ্বিক খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও)। আর সেই প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে এসব তথ্য।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষুধার্ত মানুষ বৃদ্ধির বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ৬০ কোটি মানুষ দীর্ঘস্থায়ীভাবে অপুষ্টির শিকার হবে। গত বছর ২০২২, আনুমানিক ৯০ কোটি মানুষ বিশ্ব জনসংখ্যার ১১.৩% গুরুতর খাদ্য সংকটে ভুগেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বের জনসংখ্যার ২৯.৬ ভাগ অর্থাৎ ২৪ কোটি মানুষের মধ্যে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন খাদ্য সংকটে ভুগছে। এ ছাড়া ২০২২ সালে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ৪৫ লাখ শিশু অপুষ্টির শিকার।
ফাও জানায়, ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার সম্মুখীন মানুষের সংখ্যা স্থিতিশীল হওয়ার পরও, পশ্চিম এশিয়া, ক্যারিবিয়ান এবং আফ্রিকা জুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফাও এর মহাপরিচালক কু ডং ইউ বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী থেকে পুনরুদ্ধার অসম হয়েছে, এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ খাদ্যাভ্যাসকে প্রভাবিত করেছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, সংঘাত এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা মানুষকে অনিরাপত্তায় ঠেলে দিচ্ছে।
অক্সফামের প্রধান নীতিনির্ধারক পলিন চেটকুটি বলেন, পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় দেখা ক্ষমার অযোগ্য। যদিও খাদ্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো গত বছর তাদের মুনাফা দ্বিগুণেরও বেশি করেছে। তারপরও বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ গত বছর মারাত্মকভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীন ছিল।
সোনালীনিউজ/এমটিআই