ঢাকা : অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তর ভারত। দিল্লিতে যমুনা নদীর পানি বেড়ে প্রধান প্রধান রাস্তাগুলোতেও পৌঁছে গেছে।
বুধবার (১২ জুলাই) রাত ১১টায় যমুনা নদীর পানির স্তর সর্বকালের সর্বোচ্চ ২০৮.০৮ মিটারে উঠে যায়। এর পূর্ববর্তী রেকর্ড ছিল ১৯৭৮ সালে ২০৭.৪৯ মিটার।
ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশন জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮-১০ টার দিকে যমুনায় পানির প্রবাহ হবে সর্বোচ্চ। অবশ্য দুপুর ২টার দিকে তা নামতে শুরু করবে।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ভারতের রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, অতি বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে দিল্লির যমুনা নদী। তার ওপরে বিপদ বাড়িয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানা। পাশ্ববর্তী ওই রাজ্য থেকে পানি ছাড়তেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। পরিস্থিতি এতোটাই ভয়ঙ্কর যে, নদীর পানি দিল্লির রাস্তায় উঠে এসেছে।
এনডিটিভি বলছে, যমুনা নদীর ক্রমবর্ধমান পানি উত্তর দিল্লির একটি প্রধান সড়ককে প্লাবিত করেছে। দিল্লির সুপরিচিত রিং রোডও মঠ এবং কাশ্মিরি গেটের কাছে নিমজ্জিত হয়ে গেছে, আইটিও-তেও প্লাবিত হয়েছে। এই সড়কটি পূর্ব দিল্লি থেকে মধ্য দিল্লিতে যাতায়াতের কয়েকটি রুটের মধ্যে একটি এবং শহরের কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত।
কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের সাক্ষী হয়েছে দিল্লির আশপাশের কিছু এলাকার বাসিন্দারা।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, এটি ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।
পানির স্তর ক্রমাগত বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যার মতো পরিস্থিতি রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভয়াবহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিল্লিতে আড়াই হাজার ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত অনেকবার খারাপ আবহাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। উত্তর ভারতের বেশিরভাগ অংশে একটি চরম তাপপ্রবাহ আঁকড়ে ধরার কয়েক সপ্তাহ পর অবিরাম বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বন্যারও সৃষ্টি হয়।
সোনালীনিউজ/এমটিআই