ঢাকা : টালিউড অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের ব্যক্তিগত জীবনে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। দাম্পত্য, বিচ্ছেদ, বিচ্ছেদের পর প্রেম– এমনকি সন্তানের জন্ম নিয়েও জন্ম দিয়েছেন বিতর্ক। এবার তার বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন নুসরাত। এবার এ বিষয়ে কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নুসরাতের বিষয়ে মমতা বলেন, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত অভিযোগের দায়িত্ব দল নেবে না। এটা ওদের নিজেদের বিষয়, সেটি ওরা নিজেরাই বলবে। কিন্তু প্রমাণের আগেই দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডিরেক্টর তো অনেকেই থাকে, নুসরাত যদি কোনো জায়গার ডিরেক্টর থেকেও থাকে, তা হলে এ রকম ডিরেক্টর তো অনেক আছে। ওদেরও তো (বিজেপির) কে একজন সংসদ সদস্য আছে, যার বিরুদ্ধে ইডিতে কমপ্লেন আছে। তিনি বিদেশেও গিয়েছিল চিটফান্ডের মালিকের সঙ্গে। আমি নাম বলব না।
তবে কলকাতা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নুসরাত দাবি করেন, তিনি ‘সেভেন সেন্সেস’ নামে সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। পরে তা শোধও করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘দয়া করে এ ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক রঙ চড়াবেন না। কারণ এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই।’
এদিকে নুসরাতের সংবাদ সম্মেলনের পর শঙ্কুদেব ফের অভিযোগ করেন, ওই সংস্থা থেকে নুসরাত কোটি কোটি টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনেছেন। নুসরাত যখন ওই সংস্থার পরিচালক পদে ছিলেন, তখনই যাবতীয় দুর্নীতি হয়েছিল।
নুসরাতের দাবি, বাড়ি কিনতে সংস্থা থেকে এক কোটি ১৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। ব্যাংকের লেনদেনে কোনো অস্বচ্ছতা নেই। যদিও শঙ্কুদেবের দাবি, ওই সংস্থা থেকে এক কোটি ৯৮ লাখ টাকা নিয়েছেন অভিনেত্রী। সাংবাদিকদের সামনে চেক নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করে এই দাবি করেন বিজেপি নেতা। তার আরও দাবি, কখনো পাঁচ লাখ, কখনো ২৫ লাখ, কখনো ৩৭ লাখ টাকা করে কোম্পানি থেকে একাধিকবার টাকা তুলেছিলেন নুসরাত।
সোনালীনিউজ/এমটিআই