ঢাকা : চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এভারগ্র্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে।
সঙ্কট থেকে উত্তরণে গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে সুরক্ষার আবেদন করেছে কোম্পানিটি। যা বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম বড় ঋণ পুনর্নবায়নের আবেদন।
মার্কিন আইনে দেউলিয়া হওয়া থেকে সুরক্ষা পেলে ঋণে জর্জরিত এভারগ্র্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ রক্ষা করতে পারবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই প্রতিষ্ঠানের সংকট ইঙ্গিত দেয় যে চীনা অর্থনীতি বড় ধরনের সংকটের মুখে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এভারগ্র্যান্ডের সংকট চীনা অর্থনীতির নজিরবিহীন সংকটের পোস্টারবয় হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। কারণ, চীনের আবাসন খাতে ব্যয় দেশটির মোট অর্থনীতির প্রায় এক-চতুর্থাংশ। এর আগেও এই খাত ২০২১ সালে তারল্যসংকটে ভুগেছে। বর্তমান সময়েও আবাসন ব্যবসায় সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে দেশটি।
দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রের দেউলিয়াত্ব সংক্রান্ত বিধিমালার ১৫ অধ্যায়ের আওতায় সে দেশের আদালতের কাছে আরজি জানিয়েছে এভারগ্র্যান্ডে। এই বিধিমালা যুক্তরাষ্ট্রে নথিবদ্ধ নয়, কিন্তু ঋণদাতাদের সঙ্গে ঋণ পুনর্নবায়নের লক্ষ্যে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে এবং সেই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ স্থানান্তর করতে চায়।
চীনের ২৮০টার বেশি শহরে এভারগ্র্যান্ডের ১ হাজার ৩০০-এর বেশি প্রকল্প রয়েছে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম এই আবাসন কোম্পানির বর্তমান ঋণের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি ডলারের বেশি। বিশ্বের আর কোনো আবাসন কোম্পানির এতটা ঋণ আছে বলে জানা যায় না।
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সেবা কোম্পানি মুডিসের গবেষক স্টিভেন কোচরান বলেন, এখন মূল বিষয় হলো এভারগ্র্যান্ডকে যেভাবে হোক বাকি প্রকল্পগুলো শেষ করতে হবে। এতে করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই রক্ষা পাবে। অসম্পূর্ণ প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দেওয়া হলে কোম্পানির ওপর চাপ আরও বাড়বে।
এমটিআই