• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আতশবাজিই কাল হয়ে দাঁড়াল বিয়ের অনুষ্ঠানে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩, ০১:৩০ পিএম
আতশবাজিই কাল হয়ে দাঁড়াল বিয়ের অনুষ্ঠানে

ঢাকা : ইরাকের উত্তরাঞ্চলের নিনেভেহ প্রদেশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বর ও কনেসহ অন্তত ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫০ জন।

স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ও জরুরি সেবা সংস্থার সূত্রে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা ও বিবিসি নিউজ।

ইরাকের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, বিয়ের অনুষ্ঠানে উদযাপনের সময় ব্যবহৃত আতশবাজি থেকেই হলরুমে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। তারা আরও জানায়, আগুনে প্লাস্টিক জ্বলে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।

এই বিবৃতি উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, "বিয়ের অনুষ্ঠানের সাজসজ্জায় কম দামের নির্মাণ সামগ্রী এবং দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের কারণে ছাদের কিছু অংশে আগুন লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে ইরাকি নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ের হলের বাইরের অংশটি ক্ল্যাডিং দিয়ে আবৃত ছিল যা অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ এবং ব্যবহার অবৈধ।

ক্ল্যাডিং হল প্রচন্ড তাপ বা ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য ভবনের বাহিরের পৃষ্ঠে ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় এটি ভবনের সাজসজ্জার উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে অত্যন্ত দাহ্য হওয়ায় বিভিন্ন দেশে এটি ব্যবহার নিষিদ্ধ।

২০১৭ সালের লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনের দ্রুত বিস্তারের কারণ হিসাবে এ ধরনের ক্ল্যাডিংকে দায়ী করা হয়েছিলো। সেই দুর্ঘটনায় ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ভবন নির্মাণে এই উপাদানটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

বিবিসি জানিয়েছে, ইরাকে অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও বিয়ের হলটিতে কেন দাহ্য ক্ল্যাডিং ব্যবহার করা হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে দীর্ঘকাল ধরে চলা বিল্ডারদের দুর্নীতির কারণেই দিন দিন বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতা।

এক সূত্রের বরাতে আল জাজিরা জানায়, হলটিতে আগুন নেভানোর জন্য উপযুক্ত সরঞ্জামও না থাকায় এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বিয়েতে আহত অতিথিদের মধ্যে কয়েকজন অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায়। এবং একসাথে অনেকেই হলের মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করায় পদদলিত হয় কয়েকজন।

এদিকে ইরাকের একটি সংবাদ অনুসারে, নিনেভের হামদানিয়াহ জেলার আল-হাইথাম হলের মালিককে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।

বার্তা সংস্থা আল আরাবিয়া এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় যে, মারাত্মক আগুনের ঘটনার পর হলটির মালিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!