ঢাকা : সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবসায় প্রতারণার অভিযোগে করা মামলার শুনানি। ট্রাম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ডোনাল্ড বেন্ডার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
জালিয়াতির মাধ্যমে সাবেক মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট ১০০ মিলিয়ন ডলার কামিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে আদালতে। জালিয়াতির শাস্তি হিসেবে ট্রাম্প ও তার দুই ছেলেকে চিরদিনের জন্য ব্যবসা থেকে নিষিদ্ধ করতে আদালতে আবেদন করেছেন মামলার কৌঁসুলিরা।
মামলার প্রধান কৌঁসুলি ও নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিয়া জেমস আদালতে ট্রাম্পকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানার পাশাপাশি ট্রাম্প ও তার দুই ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র ও এরিককে চিরস্থায়ীভাবে ব্যবসাজগৎ থেকে নিষিদ্ধের আবেদন করেছেন।
এ ছাড়া লেটিয়া জেমস, ট্রাম্প ও তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করারও আবেদন করেছেন।
এসব নিয়ে তিন বছর তদন্ত করেছেন লেটিয়া জেমস। তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আর্থিক বিবরণীতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছেন ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প নিজে এবং তার পরিবারের ব্যবসার সম্পদ বৃদ্ধি করেছেন।
লেটিয়া জেমস আরও তদন্ত করে জানতে পারেন যে, ট্রাম্প যে পরিমাণ অর্থ সরকারকে ফাঁকি দিয়েছেন, সেজন্য তার কাছে কমপক্ষে ২৫ কোটি ডলার পাওনা রয়েছে। এ ছাড়া ট্রাম্প তার ২৩টি প্রপার্টি এবং লাখ লাখ এমনকি শত শত কোটি ডলারের সম্পদ বাড়িয়ে নিয়েছেন। অনুকূলে ঋণ পাওয়ার জন্য এসব মিথ্যা বিবরণী ব্যবহার করেছেন।
তবে ট্রাম্প মামলাটিকে ‘মিথ্যা’ ও ‘অসৎ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। পরে মামলার শুনানির মাঝে মধ্যাহ্ন বিরতির সময় তিনি লেটিয়া জেমসকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই লোকের কাজ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং লোকজনকে নিউইয়র্ক থেকে তাড়িয়ে দেওয়া।
এমটিআই