ঢাকা : প্রাণঘাতী মাদক ফেন্টানিলের রাসায়নিক পদার্থ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চীনের ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফেন্টানিলের পাচার বন্ধে মার্কিন প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বুধবার (৪ অক্টোবর) এ খবর জানায় বার্তাসংস্থা বিবিসি নিউজ ও রয়টার্স।
শক্তিশালী ওপিওড জাতীয় ওষুধ ফেনটানিল ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে থাকে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান মাদক সমস্যাতেও বড় ভূমিকা রয়েছে এ ওষুধটির।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন এ মাদকটির উৎপাদন শুরু হয় মূলত ‘চীনের রাসায়নিক কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে।’
মার্কিন কৌঁসুলিদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল পাচারকারী কিছু রাসায়নিক উৎপাদনকারী কোম্পানি ভুয়া শিপিং লেবেল ব্যবহার করছে। ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে আরও কিছু প্রতারণামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা।
গত এপ্রিলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন যে, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যে ‘ফেনটানিলের অবৈধ পাচার বলতে কোনো কিছুই নেই।’
তবে গত মে মাসে চীন সরকারের প্রতি ফেনটানিলের অবৈধ পাচার ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মেক্সিকোতে পাচার হওয়া এই মাদক মেক্সিকান মাদক চোরকারবারীরা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে ডাক্তাররা রোগীদের ফেনটানিল খেতে বলতে পারেন। তবে ওপিওডের প্রতি সাধারণ মানুষের আসক্তি বেড়ে যাওয়ার কারণে এ ওষুধটির অবৈধ উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালেই এ মাদক গ্রহণ করে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৮০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনের এসব কোম্পানি এই মাদক পাচারের জন্য ভুয়া ঠিকানা ও লেবেল ব্যবহার করে থাকে।
নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ওয়াশিংটনস্থ চীনের দূতাবাসে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে দূতাবাস কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এমটিআই