ঢাকা : গাজা উপত্যকায় ১৫ দিন ধরে চলা ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে আরব নেতারা। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলা সংঘাত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (২১ অক্টোবর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার পর বিশ্ব নেতাদের নীরবতার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি এ সংকট সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
আবদুল্লাহ বলেন, আরব বিশ্ব পশ্চিমাদের কাছ থেকে যে বার্তা শুনতে পাচ্ছে তার অর্থ হলো ইসরায়েলিদের জীবনের থেকে ফিলিস্তিনিদের জীবনের মূল্য কম। এ সময় তিনি গাজায় নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং ইসরায়েলের পশ্চিম তীরে চালানো হামাসের হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের জন্য শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের জোর করে বাস্তুচ্যুত করা যুদ্ধাপরাধের শামিল। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের অবশ্যই ভাবা উচিত একটি রাষ্ট্র ক্রমাগত অন্যায় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে না। আমরা অবশ্যই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে ভবিষ্যত নিরাপত্তা এবং শান্তি চাই।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তনিদেরকে তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করা যাবে না।‘আমরা কখনওই তা ছাড়বো না, আমরা কখনওই তা ছাড়বো না।
পশ্চিমাদের সমালোচনা করে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসি বলেন, আমরা আজ কায়রোতে মিলিত হয়েছি খুবই কঠিন একটি পরিস্থিতিতে। যেটি আমাদের মানবিকতা এবং মানবিকতার উপর বিশ্বাসের দাবির পরীক্ষা নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসি কায়রোতে একটি শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন নেতাদের আহ্বান করেন। এ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি মূলত গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান জানান। যে রোডম্যাপের মাধ্যমে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং যুদ্ধ বন্ধ হবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়।
এমন এক সময়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো যখন গাজায় ইসরায়েল স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের হামলায় ৪১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়।
এমটিআই