ঢাকা: হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলায় গত কয়েকদিন ধরে মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থাপনা আল-আকসা মসজিদ নিয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। যুদ্ধ শুরুর পর সেখানে মুসলিমদের উপস্থিতি অনেকটাই কমে যায়।
অপরদিকে যুদ্ধ শুরুর আগে ও পরে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে ইহুদিদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। এ মাসের শুরুতে ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব সুককতের সময় জোর করে কয়েকশ ইহুদি সেখানে প্রবেশ করে। আর এবার চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করল ইসরায়েলি পুলিশ।
আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। সেখানে এখন মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তারা। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ওয়াফা মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ আল-আকসা মসজিদ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে। জর্ডানের নিয়োজিত এ ইসলামিক সংগঠনটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি পুলিশ মঙ্গলবার হঠাৎ করে মসজিদটির সব গেট বন্ধ করে দিয়েছে এবং মুসলিমদের সেখানে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
মুসলিমদের বাধা দিয়ে পুলিশ ইহুদিদের আল-আকসা চত্বরে প্রবেশ এবং সেখানে প্রার্থনার সুযোগ করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ। এর মাধ্যমে এই মসজিদ সম্পর্কিত যে চুক্তি রয়েছে সেটি লঙ্ঘন করা হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, আল-আকসা মসজিদ চত্বরে অমুসলিমরা প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু সেখানে প্রার্থনা (নামাজ) করতে পারবে শুধুমাত্র মুসলিমরা। চুক্তি থাকা সত্ত্বেও, অনেক ইহুদি আল-আকসায় প্রবেশ করে সেখানে পুলিশের সহায়তায় জোরপূর্বক প্রার্থনা করে থাকে।
মসজিদটির পবিত্রতা রক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে ইহুদি আইনেও বলা আছে আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে আল-আকসায় নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের বাধা প্রদান করে পুলিশ। প্রথমে তারা শুধুমাত্র বৃদ্ধদের মসজিদে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল। এরপর মসজিদটিতে মুসলিমদের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়।
এআর