• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

জ্বালানির অভাবে গাজায় একদিনে ছয়টি হাসপাতাল বন্ধ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ২৫, ২০২৩, ১১:৪৯ এএম
জ্বালানির অভাবে গাজায় একদিনে ছয়টি হাসপাতাল বন্ধ

ঢাকা : গত সাত অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে খাবার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রবেশে অবরোধ দিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।

গাজার হাসপাতালগুলো মজুত করা জ্বালানি দিয়ে দুই সপ্তাহের মত চললেও ফুরিয়ে এসেছে জ্বালানি। আর তাই জ্বালানির অভাবে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালগুলো।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার অন্তত ৬টি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। খবর সিএনএন।

বিবৃতিতে হু জানায়, “গাজায় জ্বালানি তেল না পৌঁছালে উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছাবে। জরুরিভিত্তিতে জ্বালানি ও মেডিকেল পণ্য সরবরাহ না হলে শিগগিরই হাজার হাজার রোগীর মৃত্যু দেখতে হবে আমাদের।“

গাজার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ডায়ালিসিস সেবা নেন প্রায় ১ হাজার রোগী। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালেরি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রয়েছে অন্তত ১৩০ জন অপরিপক্ক (প্রিম্যাচিউর) শিশু। সেই সঙ্গে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এমন বহু রোগী রয়েছেন, যাদের জীবন রক্ষার জন্য হাসপাতালে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ জরুরি।

ডব্লিউএইচওর পাশাপাশি শিশু অধিকার ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফ ও গাজা উপত্যকায় জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দিতে জোর দিয়েছে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, হাসপাতাল, ডিস্যালিনেশন প্লান্ট এবং ওয়াটার পাম্পিং স্টেশনের মতো প্রয়োজনীয় মৌলিক সুবিধার জন্য জ্বালানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উপত্যকা গাজায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের হামলার পর থেকেই হাসপাতালগুলোতে ধারণক্ষমতার তিনগুণ রোগী রয়েছে। আবার যুদ্ধ থেকে বাঁচতে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে হাজারও বাস্তুচ্যুত মানুষ।

জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে গাজাবাসীকে।

এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!