Menu
ঢাকা : গাজার বৃহত্তম হাসপাতালগুলোর নিচে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান টানেল রয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর। আর দাবির ভিত্তিতেই যুদ্ধের একমাস সময় পর গাজার প্রধান হাসপাতালগুলো লক্ষ্য করে হামলা ও অভিযান তীব্র করেছে দেশটি।
গাজার বৃহত্তম আল শিফা হাসপাতালের নীচে একটি ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টার পরিচালনা করছে হামাস, এমনই অভিযোগ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এ দাবি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে হামাস। এবার ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি নাকচ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরাও।
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফার চিকিৎসক বলেছেন হাসপাতালের ভিতরে একজন জঙ্গিও নয়। খবর বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের সার্জারি প্রধান বিবিসিকে বলেছেন, ‘আল-শিফার ভেতরে একজন ও জঙ্গি নেই।
হামাস আল-শিফায় কাজ করছে কিনা জানতে চাইলে সার্জারি প্রধান ডাঃ মারওয়ান আবু সাদা অভিযোগটিকে "বড় মিথ্যা" বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, “এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এমনকি ইসরায়েলিদের কাছেও একটি উন্মুক্ত আমন্ত্রণ। তারা শিফা হাসপাতালের কাছাকাছি রয়েছে। শিফা হাসপাতালে ঢুকে দেখেন না কেন?
তিনি আরও বলেন, “আমরা নাগরিক। আমি একজন ডাক্তার-সার্জন। আমাদের চিকিৎসা কর্মী আছে, আমাদের রোগী আছে এবং বাস্তুচ্যুত মানুষ আছে। আর কিছু না।"
ইসরায়েলি হামলায় গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কার্ডিয়াক ওয়ার্ড ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল গাজার প্রধান হাসপাতাল আল-শিফার কাছে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সেই হামলা আরও জোরদার করেছে। হাজার হাজার ডাক্তার, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত মানুষ এখানে আটকা পড়েছেন।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, বিদ্যুৎ ও অক্সিজেনের অভাবে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎিসাধীন দুই রোগী মারা গেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে জ্বালানি সংকট অব্যাহত থাকলে বাকিদেরও মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে।
এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতি চলতে থাকলে আইসিইউতে থাকা সকল রোগীই মারা যাবে বলে জানান তিনি।
এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT