ঢাকা : গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আনা হয়েছিল। ৯ ডিসেম্বর সেই প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ একই দিনে বিশ্বের ১৩টি দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ৩৭ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। মানবাধিকার ইস্যুতে দেশটির এমন দ্বিমুখী অবস্থানের সমালোচনায় সরব হয়েছে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
গাজায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের আগ্রাসনে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, যার অর্ধেকই নারী ও শিশু। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে বলে অভিযোগ করেছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আনা হয়েছিল। ৯ ডিসেম্বর সেই প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ একই দিনে বিশ্বের ১৩টি দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ৩৭ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। মানবাধিকার ইস্যুতে দেশটির এমন দ্বিমুখী অবস্থানের সমালোচনায় সরব হয়েছে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ প্রস্তাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ সদস্য পক্ষে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে আর যুক্তরাজ্য ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণেই কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি নিরাপত্তা পরিষদ।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন কাণ্ডে তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে ফ্রান্সের দূত নিকোলাস ডি রিভিয়ের বলছেন, গাজার সংকট আরও তীব্র হচ্ছে কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হল না।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, ভেটো দেওয়ার পর গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এখন একাই রয়ে গেছে। গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের কাছে অসহায় যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন ভেটোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে ওয়াশিংটনের পদক্ষেপকে অনৈতিক এবং অমানবিক বলছে সশস্ত্র ফিলিস্তিনি প্রতিরোধী গোষ্ঠী হামাস।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, এই ভেটোর মাধ্যমে, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় মৃত্যু, ধ্বংস এবং মানবিক বিপর্যয়ের মুখে বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগের প্রতি নির্মম অবহেলা দেখিয়েছে। এছাড়াও অ্যাডক্টরস উইদাউট বর্ডারস,হিউম্যান রাইটস ওয়াচও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
এছাড়াও ইরান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান,জাতিসংঘের চীনা স্থায়ী প্রতিনিধি ঝাং জুন,জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি গ্রিসের সাবেক অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারোফাকিস, নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনারের সাবেক প্রধান ক্রেগ মোখিবার, ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ মার্কিন এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এমটিআই