ঢাকা : পাকিস্তান ও ইরান পরস্পরের ভূখণ্ডে পাল্টাপাল্টি হামলার পর স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্কে ফিরেছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনওয়ারুল হক কাকারের দপ্তর এক বিবৃতিতে এমনটি জানিয়েছে।
ওই বিবৃতিতে কাকার বলেছেন, ইরান ও পাকিস্তানের স্বার্থেই ১৬ জানুয়ারির আগে সম্পর্ক যেমন ছিল তেমনটি ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
১৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ কথিত ‘জঙ্গি ঘাঁটিতে’ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে কথিত ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে’ পাল্টা হামলা ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান।
পাকিস্তান জানিয়েছে, ইরানের হামলায় দুই শিশু নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়েছে। আর ইরান জানিয়েছে, পাকিস্তানের হামলায় চার শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছে।
পাল্টাপাল্টি এসব হামলার জেরে ইরান ও পাকিস্তান পরস্পরের রাজধানী থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নেয়। এখন দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর উভয় রাষ্ট্রদূতই তাদের নিজ নিজ পদে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে; জানিয়েছে বিবিসি।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের মধ্যে টেলিফোনে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর এ অগ্রগতি ঘটে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা (পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয়) উত্তেজনা প্রশমণে সম্মত হন। পরস্পরের রাষ্ট্রদূতদের দুই দেশের রাজধানীতে ফিরে যাওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিলানি জানিয়েছেন, পাকিস্তান পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার ভিত্তিতে ইরানের সঙ্গে সব ইস্যুতে কাজ করতে প্রস্তুত।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ইরনার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের পর দেশটির মন্ত্রিসভা ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক ফের চালু করার ও পরস্পরের রাষ্ট্রদূতদের কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি সংকট ঘনীভূত হচ্ছে ও প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশী পাকিস্তানে হামলার আগে ইরান তার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশী ইরাক ও সিরিয়ায়ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
এমটিআই