• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ভারতকে উদ্বেগে রেখে মালদ্বীপে চীনের জাহাজ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জানুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০৯:৫৩ এএম
ভারতকে উদ্বেগে রেখে মালদ্বীপে চীনের জাহাজ

ঢাকা : চীনের গবেষণা জাহাজকে বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিলো মালদ্বীপ। ফলে ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) মালদ্বীপের সরকার ঘোষণা করেছে, চীনের সমুদ্র গবেষণা সংক্রান্ত জাহাজ শিয়াং ইয়াং হং ০৩-কে তাদের বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের জাহাজটি তাদের দেশে আসছে। তবে কবে আসবে, তা নির্দিষ্ট করেনি।

এই জাহাজটিকে তাদের বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া নিয়ে তারা বেইজিংয়ের কাছ থেকে কূটনৈতিক স্তরে অনুরোধ পেয়েছিলেন। ওই জাহাজটি তাদের বন্দরে আসবে, পুরনোদের বদলে নতুন কর্মীরা জাহাজে যাবে। জাহাজে মালপত্র তোলা হবে। তারপর তারা আবার সমুদ্রে ফিরে যাবে। মালদ্বীপের জলসীমায় তারা কোনো গবেষণার কাজ করবে না।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে আরও জানিয়েছে, মালদ্বীপ সবসময় বন্ধু দেশের জাহাজকে স্বাগত জানায়। সামরিক ও বেসামরিক জাহাজ আসার ক্ষেত্রে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে শান্তিপূর্ণ কাজে তাদের বন্দর ব্যবহার করতে হবে।

ভারত এর আগে জানিয়েছিল, ভারত মহাসাগরে অপারেট করার জন্য চীনের কোনো জাহাজকে যেন অনুমতি দেওয়া না হয়। তবে মালদ্বীপের এই সিদ্ধান্তের পর ভারত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্ক : মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। বেইজিংপন্থি এই রাজনীতিবিদ মালদ্বীপ থেকে ভারতকে বের করে দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি সম্প্রতি চীনে গিয়ে সেদেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

দিল্লি সমসময় মনে করত, মালদ্বীপ তাদের প্রভাবক্ষেত্র, কিন্তু এখন বেইজিং এই ক্ষেত্রে ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।

দিল্লি মনে করে, চীন-ভারত মহাসাগরের শান্তি ও স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করতে চাইছে। ভারতের সন্দেহ, চীন মুখে সমুদ্র গবেষণার কথা বলছে, আসলে তারা একটি সামরিক জাহাজ পাঠাচ্ছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো চরবৃত্তি ও সামরিক কার্যকলাপ চালানো। অপরদিকে বেইজিং বলেছে, তাদের এই জাহাজ কারো কাছে বিপদের কারণ হবে না। সূত্র : ডয়চে ভেলে

এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!