ঢাকা : গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। কায়তোতে বহুপক্ষীয় আলোচনা আরো তিন দিন অব্যাহত থাকলেও ইসরাইলি প্রতিনিধিদল দেশে ফিরে গেছে। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় নিয়ে ইসরাইল এবং গাজার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে ব্যাপক ব্যবধান থাকায় কোনো সমঝোতা হয়নি বলে জানা গেছে। প্রবল চাপ উপেক্ষা করে রাফায় ইসরাইল ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, ইসরাইল ও কাতার এই আলোচনার আয়োজন করে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস তার ইসরাইলি প্রতিনিধিদলকে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিলে তারা চলে যায়। তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে কায়রোতে সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস, কাতারি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-সানি এবং মিসরীয় কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন।
ইসরাইলি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরাইলি প্রতিনিধিদল কায়রো যাওয়ার আগেই মূলত সমঝোতার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছিল। মোশাদ প্রধান ডেভিড বারনিয়া এবং শিন বেইত পরিচালক রোনেন বারকে কেবল 'আলোচনা শোনার' জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তারা যেন কোনো নতুন প্রস্তাব না দেন, তাও বলে দেয়া হয়েছিল।
ইসরাইলি প্রতিনিধিদল কায়রো ত্যাগ করা সত্ত্বেও মিসরের এক সিনিয়র কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির আল-কাহিরা নিউজ জানায়, আলোচনা 'ইতিবাচক' এবং তা আরো তিন দিন চলবে।
এদিকে হামাসের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, তারা কায়রো সম্মেলনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে আগ্রাসন ও যুদ্ধ বন্ধ করবে, এমন যেকোনো আলোচনায় তারা যোগ দিতে রাজি।
গাজায় হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার বলেছে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধা এবং ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডে কমপক্ষে ২৮,৪৭৩ জন নিহত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ১৩৩ জন নিহত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে মোট ২৮,৪৭৩ জনে দাঁড়ালো।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় মোট ৬৮,১৪৬ জন আহত হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল, এএফপি
এমটিআই