ঢাকা : পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের রুখতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ব্যবহার করেছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় পুলিশ ও কৃষকদের মধ্যে।
এদিকে পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানা ও দিল্লিতে ঢোকার সব রকম প্রবেশপথে ব্যারিকেড, কাঁটা দেওয়া তার জড়িয়ে কার্যত দুর্গ বানানো হয়েছে।
পাঞ্জাব থেকে ব্যারিকেড ভেঙে হরিয়ানায় ঢোকার চেষ্টা করছে কৃষকরা। পাথর ছোড়ারও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিবাদী কৃষকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়ছে পুলিশ। সিমেন্টের ব্যারিকেডের মাধ্যমে কৃষকদের আটকানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।
একাধিক দাবিতে আজ দিল্লি যাত্রার ডাক দিয়েছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানার হাজার হাজার কৃষক। কৃষক আন্দোলন প্রতিরোধের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। হরিয়ানা সরকার তড়িঘড়ি দু’টি বড় স্টেডিয়ামে অস্থায়ী জেল তৈরি করেছে।
কৃষকেরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তাদের আটক করে ওই দু’টি জেলে রাখা হবে বলে সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ যাতে এই আন্দোলনের জেরে অসুবিধার মুখে না পড়েন সে দিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। কৃষকদের কর্মসূচির আগে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এক মাস অর্থাৎ, ১২ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে রাজধানীতে।
২০২০ সালে দিল্লির কৃষক আন্দোলনের স্মৃতি কি আবারও ফিরে আসছে? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী, দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন জারি রাখার নানা রকম প্রস্তুতি নিয়েই রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। সূত্র: এনডিটিভি
এমটিআই